আগেই সব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সিজ করা হয়েছে। মামলা লড়ার আর সামর্থ নেই। টাকার অভাবে এবার আদালতের দ্বারস্থ অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা মণ্ডল। মামলা লড়ার খরচ জোগাড় করতে পারছেন না তিনি। তিনি ও তাঁর বাবা অনুব্রত দুজনেই তিহাড় জেলে বন্দি। মা আগেই আমার গিয়েছেন। বাড়িতে মামলা লড়ার টাকা জোগাড় করার মতো কেউ নেই। এই যুক্তি দিয়ে সুকন্যা ৬ সপ্তাহের জন্য জামিনের আবেদন করেছেন।
সুকন্যার বক্তব্য, ৬ সপ্তাহের জন্য জামিন পেলে তিনি আইনজীবীদের ফি দেওয়ার টাকা জোগাড় করতে পারবেন। দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টের বিশেষ এজলাসে বিচারক রঘুবীর সিং সুকন্যার এই আর্জির ভিত্তিতে ইডি-র আইনজীবীদের জবাব জানতে চেয়েছেন। ১০ জুলাই ফের শুনানি হবে এই মামলার। রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টের এই বিচারকের কাছেই বার বার জামিনের আবেদন খারিজ হয়েছে অনুব্রতর। তিনি অন্য বেঞ্চে মামলা সরানোর আর্জি জানিয়েছেন। দিল্লি হাইকোর্টে জামিনের আর্জি জানিয়েছেন তিনি। দুটি মামলারই মঙ্গলবার শুনানি হবে।
এর আগেই সুকন্যা জামিনের আবেদন জানান। ইডি তখন আদালতে জানায়, সুকন্যা প্রভাবশালী তাই জামিনে মুক্তি পেলে তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করতে পারেন। ইডি-র জেরায় সুকন্যা জানান, তিনি গরুপাচারের কিছুই জানেন না। কিন্তু তদন্তে ইডি জানতে পেরেছে, কালো টাকা সাদা করার কাজ দেখভাল করতেন কেষ্ট-কন্যাই। তাঁর নামে একাধিক চালকল, সম্পত্তি রয়েছে। স্কুলশিক্ষিকা হয়েও কোটি কোটি টাকা আয় ছিল তাঁর।
আরও পড়ুন ‘বীর’ কেষ্টর হয়ে ফের সওয়াল মমতার! এবার কী বললেন?
তবে আদালতে সুকন্যা দাবি করেছেন, তাঁর কাছে এখন মামলা লড়ার টাকাও নেই। আইনজীবীদের ফি দিতে পারছেন না। পরিচিত, আত্মীয়স্বজনরাও আর্থিক সাহায্য করছেন না। জেলে বসে টাকাও জোগাড় করতে অক্ষম তিনি। জামিন পেলে পালিয়ে যাওয়ার কোনও আশঙ্কা নেই বলে আদালতে আশ্বস্ত করেছেন অনুব্রত-কন্যা। এবার আদালতে তাঁকে জামিন দেয় কি না সেটাই দেখার।