করোনার তৃতী ঢেউ নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে। কিন্তু তার মাঝেই উৎসবের সূচনা করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
করোনার তৃতী ঢেউ নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে। কিন্তু তার মাঝেই উৎসবের সূচনা করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। জানালেন, এবারও কোভিডস্বাস্থ্যবিধি মেনেই সব উদ্যোক্তাদের দুর্গা পুজোর আয়োজন করতে হবে। বারোয়ারি পুজো কমিটিগুলো পাবে পঞ্চাশ হাজার করে। তবে, বিসর্জনের কার্নিভাল বা রাতে পুজোর ঠছাকুর দেখায় ছাড় মিলবে কিনা তা চূড়ান্ত হবে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনা করেই।
Advertisment
মঙ্গলবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের কলকাতার পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসে রাজ্য প্রশাসন। ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সেখানেই সংক্রমণের মাঝে পুজো করতে কী কী নিয়ম-বিধি মানতে হবে তা খোলসা করেন মমতা। বলেন, "রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রনে। কিন্তু এটা বাড়তে দিলে হবে না। আবার বিশেষজ্ঞরা বলছেন তৃতীয় ঢেউ আসছে। তাই সব পুজো কমিটিগুলিকেই গত বারের মতো কোভিড বিধি মেনে চলতে হবে।"
বাঙালির প্রাণের উৎসব দুর্গাপুজো। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে যা বর্তমানে বিশ্বমঞ্চেও সমাদৃত। কিন্তু, করোনার জেরে গতবার পুজো উদযাপনে নিয়ন্ত্রণ জারি ছিল। হইহুল্লোড়ে রাশ টানা হয়েছিল। এবারও সেই ধারাই বলবৎ থাকছে বলে ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর পরামর্শ, "ক্লাব চত্বরে স্যানিটাইজার রাখবেন। মাঝে মাঝেই মণ্ডব স্যানেটাইজ করবেন। এছাড়া মণ্ডপে মাস্ক বিলি করুন। প্রয়োজনে কর্পোরেট সংস্থাগুলোকে কাজে লাগান। মনে রাখবেন মাস্ক পড়লে অনেকটাই রেহাই।"
সংক্রমণের ফলে এনেক পুজো কমিটিরই অর্থনৈতিক অবস্থা সঙ্গীন। সে কথা বিবেচনা করে গত বছর রাজ্য সরকার নথিভুক্ত পুজো কমিটিগুলিকে ৫০ হাজার করে অনুদান দিয়েছিল। এবারও সেই অনুদান মিলবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, "উৎসব সবার। তাই নৈতিকতা ও মানবিকতার বিচারে উৎসবের দিনগুলিতে মানুষের পাষে থাকার চেষ্টা করেছে রাজ্য সরকার।"
ট্রেন না চললেও গতবার রাতে পুজো দেখায় ছাড় ছিল। এবারও কী সেই ছাড় থাকবে। ২০২০ সালে পুজো শেষের অন্যতম আকর্ষণ রেড রোডের পুজো কার্নিভাল করা যায়নি। এবার কী হবে? এপ্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "রাতের ঠাকুর দেখায় এখনও পর্যন্ত রাজ্য সরকার ছাড়ের পক্ষে। কার্নিভালও করতে আগ্রহী। কিন্তু, সবটাই নির্ভর করছে পুজোর সময়ে সকরোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির উপর।"
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, পুজোর প্রয়োজনীয় অনুমতি নিতে এবারও ওয়ান উইন্ডো সিস্টেম চালু থাকবে। মিলবে প্রয়োজনীয় আর্থিক ছাড়ও।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন