করোনার টিকাকরণ নিয়ে বৃহস্পতিবার রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে গন্ডগোল ছড়ায়। দুর্গাপুরে এদিন টিকা দেওয়া নিয়ে স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভে সামিল হন স্থানীয়দের একাংশ। পরিস্থিতি সামাল দিতে নাজেহাল দশা হয় পুলিশের। বাধ্য হয়ে টিকাকরণ শিবির বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় প্রশাসন। উল্টোদিকে, টিকা নিয়ে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা ছড়ায় মালদহেও। ভোররাত থেকে লাইনে দাঁড়িয়েও টিকা না মেলায় জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন স্থানীয়রা।
করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা রাজ্যের একাধিক এলাকায়। দুর্গাপুরে এদিন টিকা প্রয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখান টিকাগ্রহীতারা। অভিযোগ, স্লট বুকিং করে ভোর রাত থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পরও স্বাস্থ্যকর্মীরা স্থানীয়দের অনেককে বুকিং ছাড়াই ভ্যাকসিন দিচ্ছিলেন। অথচ দীর্ঘক্ষণ লাইনে থেকেও টিকা পাচ্ছিলেন না অনেকে। এই অভিযোগ ঘিরে তুমুল অশান্তি শুরু হয় এলাকায়। স্বাস্থ্য বিধি শিকেয় তুলে শ্যামপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সামনে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে ক্ষুব্ধ জনতা। বিক্ষোভ সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয় কোকওভেন থানার পুলিশকেও। বাধ্য হয়েই টিকাকরণ শিবির বন্ধ করে দেয় প্রশাসন।
আরও পড়ুন- “৬০% শতাংশ নম্বর পেলেই স্কলারশিপ”, কৃতী পড়ুয়াদের সংবর্ধনা মুখ্যমন্ত্রীর
করোনার টিকা নিয়ে অসন্তোষ মালদহেও। দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িযে থেকেও মেলেনি ভ্যাকসিন। গাজোল গ্রামীণ হাসপাতালে এদিন ভোররাত থেকে টিকা নেওয়ার জন্য ভিড় জমান বাসিন্দারা। এই এলাকার পাশাপাশি বহু দূর এমনকী উত্তর দিনাজপুরের ইটাহার থেকেও গাড়ি ভাড়া করে টিকা নিতে আসেন অনেকে। তবে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পরেও মেলেনি টিকা। প্রতিবাদে ৫১২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান শতাধিক পুরুষ এবং মহিলা।
অবরোধের জেরে ওই এলাকার জাতীয় সড়কে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। গাজোল থানার পুলিশ গিয়ে শেষমেশ পরিস্থিতি সামাল দেয়। বিক্ষোভকারীরা জানান, গাজোল ব্লকের বিভিন্ন প্রান্ত ও দূর-দূরান্ত থেকেও বহু মানুষ টিকা নিতে এসেছিলেন। ইটাহার থেকেও অনেকে গাড়ি করে ভ্যাকসিন নিতে আসেন। ভোর রাত থেকে লাইনে দাঁড়িয়েও মেলেনি টিকা। পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন না থাকার কারণেই সমস্যা হয়েছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন