পুজো অনুদান মামলায় বিরাট স্বস্তি রাজ্য সরকারের। রাজ্যের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করল না কলকাতা হাইকোর্ট। পুজো অনুদান নিয়ে পাঁচটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল আদালতে। এদিন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, রাজ্যের অনুদানের বিষয়ে আদালত হস্তক্ষেপ করবে না।
তবে শর্তসাপেক্ষে পুজো অনুদানের অনুমতি দিয়েছে হাইকোর্ট। ৬টি নির্দেশিকা তৈরি করে দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। দুর্গাপুজোয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের অনুদান দেওয়া নিয়ে হস্তক্ষেপ করল না কলকাতা হাইকোর্ট। পুজো কমিটিগুলোকে অনুদান দেওয়া নিয়ে দায়ের করা জনস্বার্থ মামলাগুলোর শুনানি ছিল আজ হাইকোর্টে। দায়ের হওয়া মামলাগুলির রায়ে হাইকোর্ট জানাল, অনুদান দেওয়া নিয়ে হস্তক্ষেপ করবে না আদালত। শর্তসাপেক্ষে পুজো কমিটিগুলোকে অনুদান দেওয়া যাবে।
প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিছুদিন আগে ৪৩ হাজার দুর্গাপুজো কমিটিকে ৬০ হাজার টাকা করে সরকারি অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। আগের দুবছর টাকার অঙ্ক ছিল ৫০ হাজার করে। এবার সেটা ১০ হাজার টাকা বাড়িয়েছেন মমতা। এই নিয়ে শুরু রাজনৈতিক টানাপোড়েন। দুটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় আদালতে।
আরও পড়ুন ‘ঘরের দরজায় এসে ডাকবে চাকরি’, বিরাট আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর
মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের দাবি ছিল, যেখানে রাজ্য সরকার কর্মীদের ডিএ বা মহার্ঘ ভাতা দিচ্ছে না, সেখানে পুডো কমিটিগুলিকে এই অনুদান কীভাবে দিচ্ছে রাজ্য সরকার! পাল্টা হলফনামা দিয়ে রাজ্য সরকার জানায়, সরকারি কর্মীদের কোনও মহার্ঘ ভাতা বাকি নেই। রাজ্যের দাবি ছিল, ডিএ এবং পুজো অনুদান আলাদা দুটি বিষয়। তাছাড়া রাজ্য সরকার পুজো কমিটিগুলিকে বিদ্যুৎ বিলে কোনও ছাড় দিচ্ছে না।
এর পর আজ মামলার রায় দিল হাইকোর্ট। ৬টি শর্ত বেঁধে দেওয়া হয়েছে পুজো অনুদানের ক্ষেত্রে। তবে পুজো অনুদান দিতে কোনও বাধা নেই বলে জানিয়েছে উচ্চ আদালত।