প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে জলপাইগুড়ির কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের হল। তৃণমূল বিধায়ক-সাংসদদের সম্মতি না নিয়েই সরকারি বিজ্ঞাপনে তাঁদের নাম ব্যবহার করা হয়েছে বলেই এই অভিযোগ। জমা পড়া অভিযোগের সংখ্যা মোট চার। শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (এসজেডিএ)-র চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী শুক্রবার সন্ধ্যায় লিখিত অভিযোগটি থানায় জমা করেন। এছাড়া অভিযোগ করেছেন তৃণমূল জলপাইগুড়ির সাংসদ বিজয়চন্দ্র বর্মণ, আলিপুরদুয়ারের সাংসদ দশরথ তিরকে এবং ময়নাগুড়ির বিধায়ক অনন্তদেব অধিকারি।
এই বিজ্ঞাপনটির ভিত্তিতেই অভিযোগ দায়ের হয়েছে
অভিযোগে বলা হয়েছে, শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর সভা ছিল ময়নাগুড়ির চূড়াভান্ডার এলাকায়। সভায় যোগ দেওয়ার পাশাপাশি, ফালাকাটা-সলসলাবাড়ি অংশে চার লেনের হাইওয়ে প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এই অনুষ্ঠানের জন্যই বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়েছে হাইওয়ে অথরিটির তরফে। সেই বিজ্ঞাপনেই সৌরভ চক্রবর্তী-সহ তৃণমূলের বেশ কিছু সাংসদ-বিধায়কের নাম তাঁদের সম্মতি ছাড়াই ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদী ও হাইওয়ে অথরিটি-সহ বেশ কয়েকজন উদ্যোক্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: শিলংয়ে রাজীব কুমার, সিজিও-তে ‘করণবাবু
উল্লেখ্য, এদিন ময়নাগুড়ির সভায় মোদী বলেছেন, "উত্তরবঙ্গের সঙ্গে আমার হৃদয়ের যোগ রয়েছে। আপনারা চা তোলেন, আমি চা বানাই।" এরপরই মোদী বলেন, "চাওয়ালাকে কীসের এত ভয় দিদির?" কলকাতার নগরপাল রাজীব কুমারের জন্য মমতা ধর্নায় বসেছিলেন বলেও তীব্র কটাক্ষ করেছেন নমো। রাজ্যে সিন্ডিকেট রাজ নিয়েও মমতাকে একহাত নিয়েছেন তিনি।
এরপরই পাল্টা আসরে নামেন তৃণমূল নেত্রী। রীতিমতো কড়া ভাষায় মমতা বলেন, "আজকাল তো ওঁকে মি. রাফাল মোদী নামেই সকলে চেনেন। সকলে ওঁকে জিজ্ঞেস করেন মি. রাফাল মোদী, হাউ আর ইউ?" এরপরই রাফাল যুদ্ধবিমান বিতর্ক নিয়ে মোদীকে বিঁধে মমতা বলেন, "ভোটের আগে উনি চাওয়ালা হয়ে যান, আর ভোট মিটলেই রাফালওয়ালা হন। উনি অর্ধেক কথা বলেন, বাকি কথা বলেন না। মিথ্যা কথা বলেন। ওঁর মতো দুর্নীতিগ্রস্ত আগে কেউ জন্মাননি এ দেশে।"