উপাচার্য নিয়োগ ইস্যুতে এবার মুখ খুললেন আচার্য তথা রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। আর তাতেই নবান্ন-রাজভবন সংঘাত আরও ঊর্ব্বমুখী হওয়ার জোগাড়।
এগারোটি সরকার পোষিত বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃহস্পতিবারই অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করেছেন রাজ্যপাল তথা আচার্য সি ভি আনন্দ বোস। যা সংবাদ মাধ্যমে জানতে পেরেছেন বলে সামাজিক মাধ্যমে তোপা দাগেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তাঁর দাবি ছিল যে, রাজ্যপালের ওই পদক্ষেপ 'একতরফা' ও 'বেআইনি'। শিক্ষা দফতরের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই আচার্য এই নিয়োগ করেছেন। এমনকী নবনিযুক্ত অস্থায়ী উপচার্যদের প্রতি শিক্ষামন্ত্রীর আর্জি ছিল যে, 'বেআইনিভাবে নবনিযুক্ত মাননীয় উপাচার্যদের সকলকে উচ্চশিক্ষা বিভাগের পক্ষ থেকে সসম্মান অনুরোধ থাকবে যে, তাঁরা যেন এই নিয়োগ প্রত্যাখ্যান করেন।'
যদিও এদিন দেখা যায় যে, একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজে যোগ দিয়েছেন নবনিযুক্ত অস্থায়ী উপাচার্যরা।
আরও পড়ুন- ‘কালীঘাটের কাকু’ গ্রেফতারের পরই ফের বিস্ফোরক কুন্তল! এবার সরাসরি ইডি-কে চ্যালেঞ্জ
শিক্ষামন্ত্রীর 'অসন্তোষ' সম্পর্কে শুক্রবার রাজ্যপালের প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হয়। উত্তরে উপাচার্য সি ভি আনন্দ বোস সোজাসাপটা বলেন, 'আলোচনা মানেই মান্যতা বা সম্মতি দেওয়া নয়।'
রাজভবনের তরফে জানা গিয়েছে, উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে আলোচনা প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রীর অভিযোগ ভিত্তিহীন। রাজ্যপাল কোনওরকম আলোচনা করেননি, তা নয়। ১ জুন রাজ্যের ১৩টি বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যহীন হয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্যদেরই মেয়াদ বৃদ্ধির সুপারিশ করে রাজভবনে প্রস্তাব পাঠিয়েছিল শিক্ষা দফতর। কিন্তু সেই সুপারিশে সায় দেয়নি রাজ্যপাল। বদলে নিজের ইচ্ছামতো অধ্যাপকদের বেছে নিয়ে অন্তর্বর্তী উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ করেছেন রাজ্যপাল। আর তাতেই ক্ষুব্ধ শিক্ষামন্ত্রী।