SFI demands elections in colleges and universities: শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর গ্রেফতার, ক্যাম্পাসে ক্রাইম সিন্ডিকেটের অবসানের দাবি করলেও SFI-এর প্রধান দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন। তবে এরই মধ্যে এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক দেবাঞ্জন দে বৃহস্পতিবার হুঙ্কার ছেড়েছেন, "ওরা যদি বলে খেলা হবে, তাহলে আমরাও চালিয়ে খেলব।" লড়াইয়ের ময়দানে এক ইঞ্চি জমিও যে ভারতের ছাত্র ফেডারেশন ছাড়বে না তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক।
রাজ্যে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে দীর্ঘ বছর বছরে ছাত্র সংসদের কোনও নির্বাচন হচ্ছে না। হাতে গোনা দু'একটি ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম বলা যেতে পারে। এর আগে এই ছাত্র সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ দেখা গিয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে। তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার কয়েক বছর পরেই ছাত্র সংসদের নির্বাচন বন্ধ হয়ে যায়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতেও উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে লাগাতর রাজ্যপালের সঙ্গে মত বিরোধ চলতে থাকে। এখনও অনেক বিশ্ববিদ্যালয়েই অস্থায়ী অধ্যক্ষ কাজ চালাচ্ছেন।
দেবাঞ্জন বলেন, "ছাত্র সংসদ নির্বাচন করতেই হবে। ২০১৩-১৪ সালে শেষবার বহু বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়েছে। তাছাড়া কল্যানী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৬, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৭ সালে, তারপর অনেক ক্ষেত্রে নির্বাচনই হয়নি। আলিপুরদুয়ার, হরিচাঁদ গুরুচাঁদ সহ অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচনই করেনি। ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩-এ হাইকোর্টে রাজ্যের আইনজীবীরা অস্থায়ী উপাচার্য না থাকা, এই নির্বাচন না হওয়ার অন্যতম কারণ বলে উল্লেখ করেছিল। যাদবপুর, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়েও এখনও অস্থায়ী উপাচার্য।" দেবাঞ্জনের প্রশ্ন, তাহলে কি ইচ্ছা করে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করা হচ্ছে? যাতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন এড়িয়ে যাওয়া যায়?"
আরও পড়ুন- West Bengal News Live:বাঁকুড়ার শুশুনিয়া পাহাড়ে বিধ্বংসী আগুন, পুড়ে ছারখার গাছপালা, বহু জীবজন্তুর ঝলসে মৃত্যুর আশঙ্কা
বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেছেন দেবাঞ্জন। তাঁর দাবি, "ক্যাম্পাসের ভিতর জটিলতা রেখে দেওয়া হচ্ছে। যাতে ক্রাইম সিন্ডিকেট চালিয়ে যেতে পারে। ২০২৩-এর পর থেকে একাধিক নির্বাচন হয়েছে এই রাজ্যে, অথচ আইন শৃঙ্খলার দোহাই দিয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন এড়িয়ে যাচ্ছে রাজ্য সরকার। অবাধ ও গণতান্ত্রিক ভাবে ছাত্র সংসদ নির্বাচন করতে হবে।"
আরও পড়ুন- Bratya Basu: হাইকোর্টের নির্দেশেই দুরন্ত তৎপরতা, ব্রাত্য বসুদের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি, মারধরের মামলা
যাদবপুরে ওয়েবকুপার সভায় শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু গিয়েছিলেন। এসএফআইয়ের দাবি, মন্ত্রীকে ছাত্র সংসদ নির্বাচন করার দাবি জানাতে গিয়েই গন্ডগোলের সূত্রপাত। ওই ঘটনার পর থেকে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দেয় এসএফআই। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালেয় সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। এসআফআইয়ের সম্পাদকের প্রশ্ন, "ক্যাম্পাসে বহিরাগত গুন্ডারা মারতে এলে ছাত্রছাত্রীরা কি তাদের দিকে ফুল ছুড়বে?" দেবাঞ্জনের হুঙ্কার, "ইঁট খেলে পাটকেল ছোড়া হবে। ওরা যদি বলে খেলা হবে, আমাদের আওয়াজ চালিয়ে খেলা হবে।"
আরও পড়ুন- CV Ananda Bose-Mamata Banerjee:'রাজ্যপাল-মুখ্যমন্ত্রী দ্বন্দ্ব মিটুক চায়ে পে চর্চা'য়, পরামর্শ কলকাতা হাইকোর্টের