এখনও মেলেনি রফাসূত্র। পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়ায় অব্যাহত কুড়মি সমাজের লাগাতার বিক্ষোভ-অবরোধ কর্মসূচি। কুড়মি জাতিকে তফসিলি জনজাতি সম্প্রদায়ভুক্ত করা এবং কুড়মালি ভাষাকে সংবিধানের অষ্টম তফসিলের অন্তর্ভুক্তির দাবিতে গত মঙ্গলবার থেকে বিক্ষোভ-অবরোধ কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে কুড়মিরা। শনিবার তাঁদের লাগাতার এই আন্দোলন পাঁচ দিনে পড়ল।
Advertisment
পশ্চিম মেদিনীপুরের খেমাশুলি ও পুরুলিয়ার কুস্তাউর স্টেশনে গত পাঁচ দিন ধরে রেললাইনের উপর বসে-শুয়ে আন্দোলন চালাচ্ছেন কুড়মিরা। একটানা রেল রোকো কর্মসূচিতে ফি দিন দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ের বহু ট্রেন বাতিল করতে হচ্ছে। একগুচ্ছ ট্রেনের গতিপথো বদল করতে বাধ্য হচ্ছে রেল কর্তৃপক্ষ। শুধু রেললাইন আটকানোই নয়, গত মঙ্গলবার থেকে একটানা অবরোধ চলছে জাতীয় সড়ক আটকে রেখেও। পশ্চিম মেদিনীপুরের খেমাশুলিতে ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন কুড়মিরা। রাস্তা আটকে, নেচে-গেয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছে কুড়মি সমাজ।
লাগাতার বিক্ষোভে কুড়মি সমাজ।
এদিকে, জাতীয় সড়কে একটানা অবরোধে চূড়ান্ত নাজেহাল পরিস্থিত তৈরি হয়েছে। জাতীয় সড়কে কয়েক কিলোমিটার জুড়ে গত মঙ্গলবার থেকে গাড়ির লাইন পড়ে গিয়েছে। আটকে রয়েছে সারি-সারি লরি-ট্রাক ও অন্য যানবাহন। চরম হয়রনির শিকার হচ্ছেন গাড়িচালক-খালাসি থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ।
বিক্ষোভ তুলতে প্রশাসনের তরফে একধিকবার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত রফাসূত্র মেলেনি। এমনকী গতকাল বিকেলেও অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতরের তরফে বৈঠকে বসার বার্তা দিয়ে কুড়মি নেতাদের চিঠি দেওয়া হযেছে। তবে বৈঠকের বদলে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে কুড়মি সমাজ। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ-অবরোধ কর্মসূচি থেকে তাঁরা একচুলও পিছু হঠবেন না বলে সাফ জানিয়েছেন কুড়মি নেতারা।
এদিকে দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ে সূত্রে জানা গিয়েছে, গত মঙ্গলবার থেকে একটানা রেল অবরোধের জেরে আড়াইশোর বেশি ট্রেন ইতিমধ্যেই বাতিল করা হয়েছে। বহু ট্রেনের যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। টানা পাঁচদিন ওই শাখায় ট্রেন বন্ধের জেরে চূড়ান্ত দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন সাধারণ যাত্রীরা।