সোমবার রাতভর ধরনা আন্দোলনের পর মঙ্গলবার তার ঝাঁঝ বেড়েছে। শুধু অবস্থান আর নয়, শুরু হয়েছে ২০১৪-র টেটে উত্তীর্ণ (নট ইনক্লুডেড) চাকরিপ্রার্থীদের আমরণ অনশন। করণাময়ীজুড়ে মোতায়ের বিশাল পুলিশ বাহিনী। পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল ইতিমধ্যেই এই আন্দোলনকে 'বেআইনি' বলে দাবি করেছেন। আন্দোলন নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যাও।
Advertisment
কী বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?
মালবাজারে এ দিন বিসর্জনের দিন মাল নদীতে হড়পা বানে মৃতদের পরিবারের সদস্যদের চাকরির নিয়োগপত্র দান ও উদ্ধারকারীদের আর্থিক সহায়তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। অনুষ্ঠান শেষে তাঁকে টেট উত্তীর্ণদের আন্দোলন নিয়ে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। জবাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, 'এখন এইসব নিয়ে আমি আলোচনা করছি না। এটা এখন বিচারাধীন বিষয়। আদালত নির্দেশ দিয়েছে। তোমরা আদালতকে গিয়ে জিজ্ঞাসা করো।'
২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নন-ইনক্লুটেড চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, দুবার ইন্টারভিউ দিয়েও নিয়োগপত্র মেলেনি। নয়া নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তাঁরা অংশ নেবেন না। সরাসরি নিয়োগ দিতে হবে তাঁদের। এই দাবিতে সল্টলেকের রাস্তায় রাতভর অবস্থান করেছেন তাঁরা। চলছে অনশন।
চাকরিপ্রার্থীদের কথায়, ২০২০ সালে মুখ্যমন্ত্রী নিজে সাংবাদিক বৈঠক করে তাঁদের নিয়োগের কথা ঘোষণাও করেছিলেন। প্রথমে ১৬ হাজার ৫০০ পদে নিয়োগের কথা বলা হয়েছিল, জানানো হয়েছিল পরে আরও কিছু পদে নিয়োগ হবে। অভিযোগ, তার পরে ২ বছর পেরিয়ে গেলেও নিয়োগ সম্পন্ন হয়নি, উপরন্তু ২০১৪ ও ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণদের যুগ্মভাবে ১১ হাজার পদে নিয়োগের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। ২০১৭ সালের প্রার্থীরা পরীক্ষায় বসলে ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদের চাকরির সুযোগ অনেকটাই কমে যাচ্ছে।
যদিও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল আন্দোলনকারীদের দাবি খারিজ করে দিয়েছেন। বলেছেন, 'নিয়মের বাইরে কিছু করা যাবে না। চলতি বছরের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এঁদের অংশ নিতে হবে। আন্দোলনকারীরা কেউ প্যানেলভুক্ত হননি। ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদের নিয়োগের দাবি আইনসম্মত নয়।' গোটাটায় রাজনৈতিক ইন্ধন রয়েছে বলে মনে করেন পর্ষদ সভাপতি।