তৃণমূলের দলীয় কর্মসূচি 'দিদিকে বলো'-তে যে নম্বর ব্যবহার হয়েছিল, সেই একই ফোন নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে সরকারি কর্মসূচি 'সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী'তে। দলীয় কর্মসূচিতে ব্যবহার হওয়া ফোন নম্বর কী ভাবে সরকারি কর্মসূচিতে ব্যবহার হতে পারে, পঞ্চায়েত ভোটের আবহে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিরোধী দলনেতা। বিষয়টি আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘন বলে সরব হন শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার সেই মামলা শুনানির জন্য বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে ওঠে। কিন্তু বিচারপতি সিনহা সেই মামলা কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের এজলাসে পাঠিয়ে দেন। বিচারপতি সিনহার যুক্তি, শুভেন্দু অধিকারীর দায়ের করা মামলাটি মামলাটি জনস্বার্থ মামলা হিসাবে গণ্য হওয়া উচিত।
পঞ্চায়েত ভোটের দিন ঘোষণার দিনই 'সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী' কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপরই রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা পঞ্চায়েতের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেন। পঞ্চায়েত ভোটের দিন ঘোষণার পর দিন এরপর দিন 'সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী' কর্মসূচির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। যা নিয়েও সরব শুভেন্দু অধিকারী। বিষয়টি আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘিন বলে দাবি তাঁর।
এছাড়া পঞ্চায়েত ভোট সংক্রান্ত শুভেন্দু অধিকারীর দায়ের করা আরও একটি মামলার শুনানি আগামি সপ্তাহে হতে পারে কলকাতা হাইকোর্টে। বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, বাংলার বিভিন্নপ্রান্তে টাকা ছড়িয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে তৃণমূল কংগ্রেস।