পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যে যে লাগামছাড়া হিংসার বন্যা বয়ে গিয়েছে, সে সম্পর্কে নজিরবিহীন মন্তব্য করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। জাঙ্গিপাড়া ব্যালট মামলায় বিচারপতি সিনহা বলেন, 'পঞ্চায়েতে জিতলেই টাকা।' আর, সেই কারণেই যে এত মারামারি আর ভাঙচুর- তাও স্পষ্ট করে দেন বিচারপতি। তিনি জাঙ্গিপাড়ায় গণনাকেন্দ্রের বাইরে উদ্ধার হওয়া ব্যালট মামলায় ২০ জুলাইয়ের মধ্যে রিটার্নিং অফিসারের হলফনামা তলব করেছে।
বিচারপতির প্রশ্ন, রাস্তাতেই যদি ব্যালট পড়ে থাকে, তবে আর নির্বাচনের স্বচ্ছতা কোথায়? তিনি বলেন, 'প্রিসাইডিং অফিসারের ইস্যু করা ব্যালট বাইরে কীভাবে এল? এগুলোর যে কোনও অপব্যবহার হয়নি, সেটাই বা নিশ্চিত করা হবে কী করে?' গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সিসিটিভি ফুটেজ তলব করেছে আদালত। সেই সিসিটিভি ফুটেজ কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে জমা থাকবে।
ইতিমধ্যে বাম এবং বিজেপি, গণনার দিন ব্যালট ইস্যুতে নিয়ম ভঙ্গের অভিযোগ তুলেছে। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম প্রশ্ন তুলেছেন, আদৌ কি বামদের পক্ষে দেওয়া ব্যালটগুলো গণনার টেবিলে পৌঁছেছে? নাকি সেগুলো রাস্তাতেই ফেলে দেওয়া হয়েছে? তিনি বলেছেন, 'এমএলএরা তো গণনাকেন্দ্রে বসে আছেন! জেতা প্রার্থীর সার্টিফিকেট ইস্যু করা হচ্ছে না। শংসাপত্র দিয়েও কেড়ে নিচ্ছে। ছিনতাই করছে। সিপিএম যেখানে জিতছে, সেখানে পুনর্গণনার নামে তিন থেকে চার বারও কাউন্টিং চলছে!'
আরও পড়ুন- বোমা বাঁধতে গিয়ে ভাঙড়ে বিস্ফোরণ, বীভৎসভাবে ঝলসে গিয়েছেন বহু
একইসুরে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী এই নির্বাচন ও গণনার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলেছেন। তাঁর ও অন্যান্য বিজেপি নেতাদের অভিযোগ, পঞ্চায়েত নির্বাচনের নামে রাজ্যে ছেলেখেলা হয়েছে। তাই এই ফলাফলের কোনও গুরুত্ব নেই। সেই জন্য নতুন করে নির্বাচন করাতে হবে। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে রেখে নির্বাচন করাতে হবে। তা জনগণের মতামতের সঠিক প্রতিফলন নির্বাচনের মাধ্যমে পড়বে। বিজেপি নেতারা ইতিমধ্যেই অভিযোগ করেছেন, তাঁদের প্রার্থীদের বিভিন্ন জায়গায় বাড়িতে ফিরতে দেওয়া হচ্ছে না। যার ফলে, বহু বিজেপি প্রার্থীই এখন পর্যন্ত ঘরছাড়া। তাঁরা বিভিন্ন জায়গায় পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
'জিতলেই টাকা, তাই এত মারামারি-ভাঙচুর!' পঞ্চায়েত নির্বাচন সম্পর্কে নজিরবিহীন মন্তব্য বিচারপতির
আদালত ২০ জুলাইয়ের মধ্যে রিটার্নিং অফিসারের হলফনামা তলব করেছে।
Follow Us
পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যে যে লাগামছাড়া হিংসার বন্যা বয়ে গিয়েছে, সে সম্পর্কে নজিরবিহীন মন্তব্য করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। জাঙ্গিপাড়া ব্যালট মামলায় বিচারপতি সিনহা বলেন, 'পঞ্চায়েতে জিতলেই টাকা।' আর, সেই কারণেই যে এত মারামারি আর ভাঙচুর- তাও স্পষ্ট করে দেন বিচারপতি। তিনি জাঙ্গিপাড়ায় গণনাকেন্দ্রের বাইরে উদ্ধার হওয়া ব্যালট মামলায় ২০ জুলাইয়ের মধ্যে রিটার্নিং অফিসারের হলফনামা তলব করেছে।
বিচারপতির প্রশ্ন, রাস্তাতেই যদি ব্যালট পড়ে থাকে, তবে আর নির্বাচনের স্বচ্ছতা কোথায়? তিনি বলেন, 'প্রিসাইডিং অফিসারের ইস্যু করা ব্যালট বাইরে কীভাবে এল? এগুলোর যে কোনও অপব্যবহার হয়নি, সেটাই বা নিশ্চিত করা হবে কী করে?' গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সিসিটিভি ফুটেজ তলব করেছে আদালত। সেই সিসিটিভি ফুটেজ কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে জমা থাকবে।
ইতিমধ্যে বাম এবং বিজেপি, গণনার দিন ব্যালট ইস্যুতে নিয়ম ভঙ্গের অভিযোগ তুলেছে। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম প্রশ্ন তুলেছেন, আদৌ কি বামদের পক্ষে দেওয়া ব্যালটগুলো গণনার টেবিলে পৌঁছেছে? নাকি সেগুলো রাস্তাতেই ফেলে দেওয়া হয়েছে? তিনি বলেছেন, 'এমএলএরা তো গণনাকেন্দ্রে বসে আছেন! জেতা প্রার্থীর সার্টিফিকেট ইস্যু করা হচ্ছে না। শংসাপত্র দিয়েও কেড়ে নিচ্ছে। ছিনতাই করছে। সিপিএম যেখানে জিতছে, সেখানে পুনর্গণনার নামে তিন থেকে চার বারও কাউন্টিং চলছে!'
আরও পড়ুন- বোমা বাঁধতে গিয়ে ভাঙড়ে বিস্ফোরণ, বীভৎসভাবে ঝলসে গিয়েছেন বহু
একইসুরে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী এই নির্বাচন ও গণনার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলেছেন। তাঁর ও অন্যান্য বিজেপি নেতাদের অভিযোগ, পঞ্চায়েত নির্বাচনের নামে রাজ্যে ছেলেখেলা হয়েছে। তাই এই ফলাফলের কোনও গুরুত্ব নেই। সেই জন্য নতুন করে নির্বাচন করাতে হবে। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে রেখে নির্বাচন করাতে হবে। তা জনগণের মতামতের সঠিক প্রতিফলন নির্বাচনের মাধ্যমে পড়বে। বিজেপি নেতারা ইতিমধ্যেই অভিযোগ করেছেন, তাঁদের প্রার্থীদের বিভিন্ন জায়গায় বাড়িতে ফিরতে দেওয়া হচ্ছে না। যার ফলে, বহু বিজেপি প্রার্থীই এখন পর্যন্ত ঘরছাড়া। তাঁরা বিভিন্ন জায়গায় পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।