বাঙালি পরিচালক সুদীপ্ত সেনের 'দ্য কেরালা স্টোরি' বাংলায় নিষিদ্ধ ঘোষণা করার পর বিজেপি ও সংঘ পরিবার রাজ্য সরকারের কড়া সমালোচনা করেছে। নিষিদ্ধকরণের ফলে সন্ত্রাসবাদকে মদত দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিল আরএসস ও ভিএইচপি। এবার বিচার চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে 'দ্য কেরল স্টোরি' নিয়ে জনস্বার্থে মামলা দায়ের করল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ।
রাজ্যে শান্তি-শৃঙ্খলা অক্ষুন্ন রাখতে 'দ্য কেরল স্টোরি' নিষিদ্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরই সরকারি ভাবে বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্য। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সিনেমা নির্মাতারা ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। বাংলায় ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ নিষিদ্ধ হলেও বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশ ও মধ্যপ্রদেশে সিনেমাটি করমুক্ত বলে ঘোষণা করা হয়েছে। এই সিনেমা প্রশংসা পেয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীরও।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের পূর্বাঞ্চলের সম্পাদক অমিয় সরকারের বক্তব্য, 'দ্য কেরালা স্টোরি সন্ত্রাসবাদী বা আইসিসকে নিয়ে তৈরি সিনেমা। কোনও ভাবে কোনও সম্প্রদায়কে হেয় করা হয়নি এই সিনেমায়। অযথা সংখ্যালঘুদের খুশি করতে নিষিদ্ধ করে বাংলা। সিনেমাটি নিষিদ্ধ করায় পরিষদের সাংস্কৃতিক সেলের পক্ষে হাইকোর্টে জনস্বার্থে মামলা করা হয়েছে। মামলাটি করেছেন অনিন্দ্যসুন্দর দাস।' নিষিদ্ধ ঘোষণা রদ করার দাবি জানিয়েছেন অমিয় সরকার।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'দ্য কেরালা স্টোরি' নিষিদ্ধ ঘোষণা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলেছেন ভিএইচপির কার্যকর্তা। অমিয় সরকারের প্রশ্ন, 'এই সিনেমা কি মুখ্যমন্ত্রী দেখেছেন? কার কথায় নিষিদ্ধ করলেন? কার বুদ্ধিতে একাজ করলেন? নাকি শুধুই ভোটের জন্য?' অমিয়বাবুর কথায়, 'বাংলা স্টোরি তৈরি হবেই। এটা কেউ আটকাতে পারবে না। কোনও সত্যকে কেউ ঢেকে রাখতে পারবে না। তার জন্য আতঙ্কিত হয়ে এই কাজটা করলেন মুখ্যমন্ত্রী?'
কেরলের মতো এরাজ্য থেকেও হাজার হাজার মহিলা নিখোঁজ হয়ে যাচ্ছে বলে দাবি করেছেন অমিয় সরকার। তাঁর বক্তব্য, 'সেন্সাস বোর্ড পাস করেছে দ্য কেরালা স্টোরি। মুখ্যমন্ত্রী সেন্সাস বোর্ডের সদস্য নন, যিনি নোটিফিকেশনে সই করেছেন তিনিও সদস্য নয়। তাহলে আলাদা নতুন সেন্সাস বোর্ড তৈরি করেছেন উনি? কেরলে গন্ডগোল হয়নি, এরাজ্যে কোথাও আইন-শৃঙ্খলা জনিত কোনও সমস্যা হয়েছে?' তবু কেন নিষিদ্ধ? প্রশ্ন ভিএইচপির।