তিনি সকলের কাছে আইডল। বিশেষ করে নাইন্টিস কিডসদের জন্য শাহরুখ যেন স্বপ্নের মত। স্মৃতির পাতা ঘাটলে কেউ বলবে সার্কাসে দেখেছেন কিং খানকে। কেউ নেবেন ডর ছবির নাম, আবার কেউ বলবেন দিওয়ানা। সেই মানুষের সঙ্গে কাজ করতে গেলে হাত পা কাঁপা খুব স্বাভাবিক। অন্তত এটাই মনে করেন জওয়ান ছবির হ্যাকার সঞ্জিতা ভট্টাচার্য।
দিল্লিবাসী বাঙালি এই মেয়ের জয়জয়কার শাহরুখের ছবিতে। কারণ, টাকা পয়সার লেনদেন সবকিছু এর মারফতই সম্ভব হয়। শাহরুখের সঙ্গে কাজ করবেন যেন কল্পনাও করতে পারেননি। একেই সামনে দাঁড়িয়ে আইডল, শাহরুখের কাছে দাঁড়ালে মেয়েদের রোমান্স এবং প্রেম ব্যতীত অন্যকিছু জাগে না। সেখানে শাহরুখকে কাকা বলে ডেকেছেন তিনি! বেজায় ক্ষেপে উঠেছেন তাঁর ভক্তরা। শাহরুখের ডবল রোল এই ছবিতে। বিক্রম রাঠোর এর চরিত্রটি একটু বয়স্ক, আর তাঁকেই কাকু বলে ডাকতে হবে।
সেদিনের শুটিং অভিজ্ঞতা শেয়ার করে সঞ্জিতা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, "আমি তো খুব ভয়ে ছিলাম। শুধু তাই নয়, তাঁকে আঙ্কেল বলতে হবে এটা ভেবেই কেমন একটা হচ্ছিল। কিন্তু, খুব নরমভাবে, আমি ডায়লগ বলি। শাহরুখ আমার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে ছিলেন। তারপর, নিজে থেকেই বললেন, তোমায় আমায় নিয়ে খোরাক করতে হবে। নইলে জমবে না। এমনভাবে ডায়লগ বলো যেন শুনলেই অনুভূতি হয়। মজা করতে হবে আমার বয়সটা নিয়ে। কিন্তু, আমার বন্ধুরা কী রেগে গিয়েছে। ওরা বলছে, মানুষটাকে কাকু বলবি তুই!" অভিনেত্রীর কথায়, শাহরুখ সম্পূর্ন ছবিতেই তাঁকে সাহায্য করে গিয়েছেন।
আরও পড়ুন - তাণ্ডব চালাচ্ছে ‘জওয়ান’, কোটির অঙ্ক অব্যাহত! ৬০০ কোটি পেরোতে আর মাত্র কিছুক্ষণ
শুধু তাকে নয়। তিনি জানেন তিনি কিং খান, তাঁর প্রতি সকলের ভালবাসা অন্যরকম হবেই। কিন্তু, অন্যান্যরা যাতে খারাপ না ভাবে, সেকারণেও আরও সতর্ক থাকতেন তিনি। সঞ্জিতা আরও বলেন, "আমরা দুজনেই দিল্লিবাসী। ছোলে ভাতুরে, খাবারদাবার নিয়ে কথা হত। শাহরুখ স্যার ভীষণ গল্প করেন। সকলের সঙ্গে আড্ডা দেন। একদম বাবার মত। আদরে রাখেন সকলকে। আমায় তো জোর করে একদিন, গান গাইতে বসিয়ে দিলেন গিটার নিয়ে। সেই থেকেই সবাই জানলেন যে আমি গান গাই"। তারপরই, ছবিতে স্প্যানিশ ভার্সনে গান গাওয়ার সুযোগ হয় অভিনেত্রীর।
শাহরুখ এই প্রথম গোটা একটা দক্ষিণী টিমের সঙ্গে কাজ করেছেন। খাবার দাবার নিয়েও শাহরুখ বেশ অন্যরকম। সঞ্জিতা বলেন, "আমরা সকলেই এক খাবার খেতাম। কোনও আলাদা নয় যে কিং খান বলে আলাদা। অ্যাটলি স্যার বাড়ি থেকে ইডলি, ডাল ভাত, চিকেন এসব আনতেন। আর শাহরুখ? এক হাতে কফি, আর অন্যহাতে সিগারেট। এই নিয়েই থাকতেন সবসময়।"