সামাজিক দ্বন্দ্ব, সাম্প্রদায়িক বিভেদের বিষ এখন সিনেপর্দায়! আর সেই বাস্তব প্লট রুপোলি পর্দায় সিনেম্যাটিক মোড়কে ফোটাতে গিয়েই বিপাকে পড়েছেন টলিপাড়ার পরিচালক-প্রযোজকরা। এমনিতেই অতিমারী উত্তরপর্বে বাংলা সিনেমার বাজার মন্দা! তারওপর আবার বয়কটের ডাক যেন ‘গোদের ওপর বিষফোঁড়া’! এবার সেই প্রেক্ষিতেই বয়কট-কারীদের একহাত নিলেন রাজ চক্রবর্তী।
আগস্টের ১১ তারিখ মুক্তি পেয়েছে। আর এক সপ্তাহ থেকেই রাজ চক্রবর্তীর 'ধর্মযুদ্ধ' নিয়ে নেটপাড়ায় ধুন্ধমার কাণ্ড নেটপাড়ায়। হ্যাশট্যাগ দিয়ে ফেসবুক থেকে টুইটার সর্বত্র এই সিনেমা বয়কটের ডাক দিচ্ছেন নেটজনতার একাংশ। এর প্রেক্ষিতে অবশ্য আগেভাগেই টুইটারে মোক্ষম জবাব ছুঁড়ে দিয়েছিলেন রাজ চক্রবর্তী। কিন্তু তাতেও লাভ হয়নি! কে বা কারা 'ধর্মযুদ্ধ' বয়কটের ডাক দিচ্ছেন? পরিচালকের অভিযোগের তীর সোজাসুজি বিজেপির আইটি সেলের দিকে। তাঁরাই এই সিনেমা নিয়ে এত সমালোচনা-বিতর্কের সূত্রপাত করেছে বলে মত।
<আরও পড়ুন: ‘হিংসা ছড়াচ্ছে’! ‘লাল সিং চাড্ডা’ নিষিদ্ধ করতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা BJP নেত্রীর>
রাজ চক্রবর্তীর মন্তব্য, "বিজেপি আইটি সেলের কর্মীরা পোস্টের বিনিময়ে পয়সা পান। এদের সিনেমা-গান কিছু নিয়েই উৎসাহ নেই। ধর্মযুদ্ধ সিনেমায় কোনও ধর্মকে আঘাত করা হয়নি। বরং, সম্প্রীতির কথা বলে এই সিনেমা। বিসমিল্লাও তাই। কিন্তু এরা ধর্মীয় সম্প্রীতি, সংহতি চায় না বলেই 'ধর্মযুদ্ধ'র বিরোধীতা করছে। এরা প্রোফাইল পিকচারে জাতীয় পতাকার ছবি লাগালেও মুখে হিংসা-হানাহানির কথা। এদের সাহস থাকলে সামনে এসে কথা বলুক। সিনেমাটা দেখুক। আমি ওদের সঙ্গে বসে সিনেমা দেখব।"
আর এসব যাবতীয় বিতর্কের মাঝেই বিজেপি বিধায়কদের জন্য নন্দনে 'ধর্মযুদ্ধ' দেখার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক তথা পরিচালক রাজ চক্রবর্তী। জি ২৪ ঘণ্টার কাছে এমনটাই জানান তিনি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন