"দয়া করে আমার মেয়ে ঋতাভরীকে কেউ করবেন না! ওঁর সঙ্গে সংসার করা সহজ কথা নয়!...", সোশ্যাল মিডিয়ায় সপাটে জানালেন ঋতাভরী চক্রবর্তীর (Ritabhari Chakraborty) মা শতরূপা সান্যাল। আর মায়ের একথা শুনে পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ঋতাভরী সলজ্জে মাকে নিয়ে পালিয়ে গেলেন।
কিন্তু এমন কী কারণ, যার জন্য মেয়ে ঋতাভরীকে বিয়ে করতে মানা করলেন শতরূপা সান্যাল? সাধারণত বয়স হলে মেয়েদের বিয়ে দেওয়ার চিন্তায় কপালে ভাঁজ পড়ে যায় সমাজের। মেয়েকে সৎ পাত্রস্থ করতে বাবা-মা একেবারে উঠেপড়ে লাগেন। বলা ভাল, একপ্রকার ঘুম উড়ে যায়। কিন্তু টলিউড নায়িকা ঋতাভরীর বাড়িতে তো সম্পূর্ণ উলটো চিত্র! প্রকাশ্যেই নিজেরে মেয়েকে বিয়ে করতে মানা করছেন মা শতরূপা। যা দেখে অনুরাগীরা রীতিমতো প্রশ্নের বন্যা বইয়ে দিয়েছেন।
আসলে গোটা বিষয়টাই হয়েছে মজার ছলে। মা শতরূপা সান্যাল মেয়েকে বিয়ে না করার কারণ একেবারে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন যে, ঋতাভরীর অনেক বায়নাক্কা রয়েছে। সকালে তাঁর মুড কেমন রয়েছে তা বুঝে ব্রেকফাস্ট বানাতে হয়। তাই তাঁর মেয়ের সঙ্গে সংসার করা যে মোটেই সহজ কথা নয়, এ একেবারে সাফ জানিয়ে দিলেন তিনি। আসলে সুন্দরী অভিনেত্রীকে অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বিয়ের প্রস্তাব পাঠিয়ে থাকেন। তাঁর রূপ ও গুণমুগ্ধের সংখ্যাও নেহাত কম নয়! তাই সরাসরি বিয়ের প্রস্তাব আসে অনেক জায়গা থেকেই। আর সেসবের ভিত্তিতেই শতরূপা জানিয়ে দিয়েছেন যে, কেউ যদি তাঁর বড় মেয়ে অর্থাৎ ঋতাভরীর সঙ্গে সংসার করার কথা ভেবে থাকেন, তাহলে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া ভাল।
ঋতাভরী চক্রবর্তী নিজেই সেই মজার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন। ক্যাপশনও বেঁধেছেন খাসা। লিখেছেন, "মম যখন ব্রুটাস হয়ে যান... একদম এঁনার কথা বিশ্বাস করবেন না।" প্রসঙ্গত, মা-মেয়ের এরকম মজার ভিডিও এর আগেও পোস্ট করেছেন ঋতাভরী।