পঞ্চ তন্ত্রে বিলীন হয়ে না ফেরার দেশে সুর সম্রাজ্ঞী। শুধু ভারত নয়, উপমহাদেশ জুড়েই সঙ্গীতের সরস্বতীর প্রয়াণে শোকের ছায়া। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে তার অবদান থেকে বিদেশের মাটিতে কোকিল কণ্ঠের গান, তিনি মিশে আছেন সর্বত্রই। সেদিন যাবত তাকে ঘরেই নানান স্মৃতি বারবার ফিরে আসছে সকলের মনে। লতাজী ( Lata Mangeshkar ) নিজে মনে করতেন তার গলা ঈশ্বরের দেন, এমন কিছুই অলৌকিক ঘটনা নয়। তবে পুনরায় জন্মালে লতা হয়ে জন্মাবার ইচ্ছে একেবারেই ছিল না কিংবদন্তি শিল্পীর?
Advertisment
এক সাক্ষাৎকারে গায়িকা জানিয়েছিলেন, পুনর্জন্ম তার হোক এটিই আপত্তিজনক আর যদি হয়েও যায় ফের যেন লতা মঙ্গেশকর হয়ে এই পৃথিবীতে না আসেন। ভারতেই জন্মাতে চান, মহারাষ্ট্রের এক ক্ষুদ্র পরিবারে সাধারণ মানুষ হয়ে জন্মলাভ করলেই বেশি খুশি হবেন। কিন্তু কেন? তিনি বলেছিলেন, এতে প্রচুর মুশকিল রয়েছে! লতা হয়ে ওঠার পথ এবং সাময়িক প্রাসঙ্গিকতা একেবারেই সহজ নয়। উনার যা সমস্যা সেটা শুধু উনিই বোঝেন।
মাত্র ১৩ বছর বয়স থেকে পরিবারের হাল ধরেছিলেন তিনি। জীবনে পেয়েছেন অনেককিছু তেমনই হারিয়েছেন অনেককিছু। সম্প্রতি অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহা বলেন, লতা মঙ্গেশকর নিজেকে বৈবাহিক জীবনে পর্যন্ত জড়াননি পরিবারের কথা ভেবেই। অনেক মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন, গান গেয়েছেন প্রচুর সুরকারের সৃষ্টিতে।
৯২ বছর বয়সে মাল্টি অর্গান ফেলিওর হওয়াতেই মৃত্যু হয় তার। ৮ দশক ধরে শ্রোতাদের মনোরঞ্জন করেছেন শিল্পী, শেষকৃত্যে পৌঁছেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শাহরুখ খান, রণবীর কাপুর, শ্রদ্ধা কাপুর, সস্ত্রীক সচিন তেন্ডুলকর এবং অন্যান্য।