কিছুদিন আগে পাকিস্তানে মান্টো মুক্তি না পাওয়ায় নিজের দুঃখের কথা প্রকাশ করেছিলেন নন্দিতা দাস। এবার তা নিয়েই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন পাকিস্তানের তথ্য-প্রচার ও সংস্কৃতি মন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী। অপরদিকে, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের কাছে অনলাইন পিটিশনে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে। শনিবার নন্দিতা দাস টুইটে বলেন, ''এটা দুঃখের যে পাকিস্তানের সিনেমাহলে মান্টো দেখানো হচ্ছে না। আমি ভীষণভাবে আগ্রহী ছিলাম কেননা উনি সমানভাবে দু'দেশেরই ছিলেন''।
তিনি তার পোস্টের সঙ্গে একটি প্রতিবেদনের লিঙ্কও জুড়ে দেন। যেখানে একটি খবরের ওয়েবসাইট লিখেছিল কেন মান্টো ভারতের সীমানা পেরোতে পারলনা। যা ফারওয়াদ চৌধুরীকে বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য করল। মান্টোর জীবনের ওপর তৈরি এই ছবি নিয়ে তিনি লিখেছেন, ''আমি চেষ্টা করছি পাকিস্তানের আমানতকারীদের বলতে যাতে তারা ছবিটা এদেশে নিয়ে আসে। আশা করব পারতপক্ষে কম কর্মাশিয়াল এই ছবি দেখানোর ঝুঁকিটা কেউ না কেউ নেবে''। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন পাকিস্তানি ছবি রামচন্দ পাকিস্তানির অভিনেত্রী নন্দিতা।
আরও পড়ুন, দুলকর সলমানের সমালোচনার জন্য মুম্বই পুলিশকে টুইট সোনমের
নন্দিতা দাস পরিচালিত মান্টো ছবিতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি। মান্টোর জীবনের সবথেকে আলোচিত বছরগুলো তুলে ধরা হয়েছে ছবিতে। পাকিস্তান সেন্সর বোর্ডের চেয়ারম্যান ড্যানিয়াল গিলানি আইএএনএসকে সোশাল মিডিয়ায়র মাধ্যমে বলেন,''বোর্ডের সদস্যরা মান্টোকে দেখানোর অনুমতি দেননি। সেন্সরশিপের নিয়মের আওতায় তারা ছবিটার মধ্যে হিংসার রসদ খুঁজে পেয়েছেন''। তবে পাকিস্তানের ইন্ডাস্ট্রি সূত্রের খবর মান্টোর মধ্যে কর্মাশিয়াল বিষয় কম থাকায় কেউই ছবিটা নিয়ে আগ্রহ দেখায়নি।
ডন সংবাদপত্র অনুযায়ী, অনলাইন পিটিশনে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের কাছে মান্টো থেকে ব্যান তুলে নেওয়ার অনুরোধ করা হয়। একটি খোলা চিঠিতে বলা হয়, ''নন্দিতা দাস পরিচালিত মান্টো প্রশংসিত একটি ছবি। যা উর্দু লেখক সাদাত হোসেন মান্টোর ওপর তৈরি। যিনি দেশভাগের সময় পাকিস্তানকে বেছে নিয়েছিলেন কিন্তু দু'দেশেই তিনি সমানভাবে সমাদৃত। বিশ্বের চলচ্চিত্র সমালোচকরা ছবিটা পছন্দ করেছেন''। কিছুদিন আগেই ব্যান করা হয়েছে ছবিটি। পাকিস্তানি সাহিত্য জগতের কবি ও বিদ্বজনেরা এই বয়কট তুলে নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন।
Read the full story in English