অতিমারীর দ্বিতীয় ঢেউ যেখানে জাঁকিয়ে বসেছে, সংক্রমণের মাত্রা ক্রমাগতই বর্ধমান, সেখানে এই চরম পরিস্থিতিতেও কাজ বন্ধ করা যাবে না। প্রথমত, কাজের প্রতি নিষ্ঠা, শ্রদ্ধা এবং দ্বিতীয়ত শিল্পীর পেটের দায়। তাই মারণ ভাইরাস ঠেকাতে আগেভাগেই সিদ্ধান্ত নিয়ে কোভিড (Covid-19) ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন চৈতি ঘোষাল (Chaiti Ghoshal)। কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা আর হল কোথায়! সেই প্রাণঘাতী ভাইরাস জাঁকিয়েই বসল অভিনেত্রীর শরীরে। আপাতত নিজের বাড়িতেই আইসোলেশনে রয়েছেন চৈতি। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জাানিয়েছেন সেকথা।
Advertisment
কিন্তু সংক্রমণ বাঁধল কীভাবে? সোমবার এক ধারাবাহিকের শ্যুটিং চলাকালীনই আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন চৈতি ঘোষাল। পরিস্থিতি এতটাই সঙ্গীন হয়ে ওঠে যে, যে অভিনেত্রী কিনা শত শরীরখারাপেও শুয়ে পড়ার মানুষটি নন, তাঁকেই এদিন ছুটি নিয়ে বাড়ি ফিরে আসতে হয়। গায়ে তখন ধুম জ্বর, প্রায় ১০৩। সারা গায়ে তীব্র ব্যথা। সঙ্গে সর্দি-কাশি। প্রথমটায় ভাইরাল জ্বর মনে করলেও পরে ওষুধ খেয়ে না কমায় তড়িঘড়ি কোভিড টেস্ট করান। বুধবার সকালে রিপোর্ট আসতেই দেখেন পজিটিভ।
প্রসঙ্গত, বলিউড-সহ টলিউড তথা টেলিপাড়াতেও জাঁকিয়ে বসেছে করোনা (Corona Virus) ভাইরাস। নিত্যদিনই প্রায় কারও না কারও করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। সেই প্রেক্ষিতে কিন্তু চৈতি ঘোষাল টেলিপাড়ায় শিথীল নিয়মকেই দোষারোপ করছেন। তাঁর কথায়, অনেকের মধ্যেই সচেতনতার অভাব। খানিক জ্বর হলেই কেউ ওষুধ খেয়ে কমে গেলে আর পাত্তা দিচ্ছেন না। কোভিড টেস্টও করাচ্ছেন না। পুরোপুরি সুস্থ হওয়ার আগেই কাজে যোগ দিচ্ছেন। কেউ বা আবার শরীর খারাপ লুকিয়ে মনের জোরেই কাজ করতে চলে আসছেন। তাঁরা আদৌ জানেন-ই না যে তাঁদের কোভিড হয়েছে কিনা। আর তার ফলেই সংক্রমণ আরও দ্রুত গতিতে ছড়াচ্ছে, বলে মত অভিনেত্রীর।