প্রায় ২০ বছরের কেরিয়ারে প্রথমবার সেরা মুখ্য অভিনেতার জন্য পুরস্কার পেলেন যিশু সেনগুপ্ত, সৌজন্যে অবশ্য সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের 'এক যে ছিল রাজা'। অন্যদিকে আক্ষেপ তো মিটেইছিল, তবে এবার আনন্দে গলা বুজে এল সুদীপ্তা চক্রবর্তীর। প্রথমবার অ্যাওয়ার্ড পেলেন সেরা অভিনেত্রী বিভাগে, মুখ্য চরিত্র হিসাবে (উড়নচণ্ডী)। খানিকটা অনুযোগের সুরেই মঞ্চে বলে উঠলেন, "প্রথমবার কেউ প্রধান ভূমিকায় কাস্ট করার কথা ভেবেছিলেন ভাগ্যিস।" রবিবারের সকালটা বসুশ্রী প্রেক্ষাগৃহে এভাবেই ভাল-মন্দ মিশিয়েই কাটল সকলের। সঙ্গে পাল্লা দিল শীতের কচুরি-ছোলার ডাল-আলুর দম।
বসুশ্রীতে পুরস্কারের মঞ্চে।
রবিবার অনুষ্ঠিত হয় ওয়েস্ট বেঙ্গল ফিল্ম জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশন (ডব্লুবিএফজেএ) আয়োজিত সিনেমার সমাবর্তন অনুষ্ঠান। বিভিন্ন বিভাগে কলাকুশলীদের সম্মানিত করা হয়েছে। ঘটেছে অনেক চমকও। সেরা ছবির তকমা পেল ইন্দ্রাশিস আচার্যের 'পিউপা'। একসঙ্গে জনপ্রিয় সেরা অভিনেতার পুরস্কার পেয়েছেন আবির চট্টোপাধ্যায় (ব্যোমকেশ গোত্র) ও প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ('কিশোর কুমার জুনিয়র')। সেরা জনপ্রিয় অভিনেত্রীর তালিকাতেও ছিল যুগ্ম নাম, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত (দৃষ্টিকোণ) ও সুদীপ্তা চক্রবর্তী(উড়নচণ্ডী)। কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের 'দৃষ্টিকোণ' পেল চারটি অ্যাওয়ার্ড - সেরা সহ অভিনেত্রী (চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায়), সেরা সংগীত পরিচালক এবং গায়ক (অনুপম রায়)।
'রেনবো জেলি' ছবির জন্য সেরা সম্ভাবনাময় পরিচালক হলেন সৌকর্য ঘোষাল
সৃজিত মুধোপাধ্যায়ের ঝুলিতে গেল সাতটি পুরস্কার। সেরা গীতিকারের পুরস্কারও পেলেন তিনিই ('আহারে মন')। সেরা পরিচালকও হলেন তিনিই (এক যে ছিল রাজা)। পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় পেলেন সেরা সংলাপের পুরস্কার (সোনার পাহাড়)। 'রেনবো জেলি'-র জন্য সেরা সম্ভাবনাময় পরিচালক হলেন সৌকর্য ঘোষাল।
কিন্তু এসবের মাঝেই কোথায় "সময় কম পড়ল" ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর জন্য? সেরা অভিনত্রীর পুরস্কার নিতে মঞ্চে উঠে নিজেই বলে ফেললেন কথাটা, যদিও এতটাই অভিমান করেছিলেন যে শেষ অবধি মঞ্চে উঠবেন কী না তাই নিয়েই দেখা দিয়েছিল সন্দেহ। আসলে নিজের পরবর্তী ছবির ঝলক সকলকে দেখাতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ছবির টিজার দেখানোর সময়টা দিতে অস্বীকার করেন ডব্লুবিএফজেএ কর্তৃপক্ষ। আর তাতেই এহেন মন্তব্য ঋতুপর্ণার।