BJP’s top NDA partners may stay with the alliance: মুখে ধর্মনিরপেক্ষতার বুলি। সরকার থেকে বিরোধী, সব মঞ্চেই গত কয়েক দশকে এদেশের বেশ কিছু নেতাকে বারবার দেখেছে জনগণ। অথচ, পরিসংখ্যান বলছে, এনডিএ থেকেই এই সব নেতারা সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছেন। তাঁদের দল ভালো কিছু পেয়েছে এনডিএ থেকেই। গত ১০ বছরে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে কেন্দ্র চালানো বিজেপি এবার সরকার গড়তে ফের এনডিএর ওপর নির্ভরশীল। কারণ, নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্থাৎ ২৭২টি আসন এবার বিজেপি জোটাতে পারেনি।
জাতীয় রাজনীতির কিংমেকার
আর, তারফলে বিজেপি যে দলগুলোর ওপর সবচেয়ে বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে, তার অন্যতম হল তেলুগু দেশম পার্টি (টিডিপি) এবং সংযুক্ত জনতা দল (জেডি-ইউ)। যার মধ্যে তেলুগু দেশম পার্টির প্রধান হলেন চন্দ্রবাবু নাইডু। আর, জেডিইউ প্রধান নীতীশ কুমার। চন্দ্রবাবু নাইডু ফের অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণ করতে চলেছেন। আর, নীতীশ কুমার বর্তমানে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। এই দুই দলের সঙ্গেই অন্ধ্রপ্রদেশ এবং বিহারে বিজেপির বর্তমানে জোট রয়েছে। তবে, সেটা কতদিন থাকবে, তা নিয়ে সন্দেহ থাকতেই পারে। কারণ, এই দুই নেতাই বারবার কখনও সরকার কখনও আবার বিরোধী পক্ষে থেকেছেন।
তেলুগু দেশম পার্টি
টিডিপি প্রথমবার ১৯৯৬ সালে এনডিএ-তে যোগ দিয়েছিল। চন্দ্রবাবু নাইডু তখন একজন তরুণ নেতা। তিনি আইটি গভর্ন্যান্সের অগ্রণী মুখ হিসেবে জাতীয় রাজনীতিতে পরিচিতি লাভ করেন। ২০১৮ সালে এনডিএ ত্যাগ করার পরে টিডিপি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। ২০১৮ সালে তেলঙ্গানা বিধানসভায় তারা মাত্র ২টি আসন এবং ২০১৯ সালে অন্ধ্রপ্রদেশ বিধানসভায় মাত্র ২৩টি আসন পায়। টিডিপি ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে বিরোধী জোট ইউপিএ-তে যোগ দিয়েছিল। আর এই বছরের ফেব্রুয়ারিতে এনডিএ-তে প্রত্যাবর্তন করেছে। এবারের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি অপেক্ষাকৃত খারাপ ফল করলেও টিডিপি দারুণ ফল করেছে। অন্ধ্রপ্রদেশ বিধানসভায় ১৭৫টি আসনের মধ্যে তারা ১৩৪টিতে জিতেছে। অন্ধ্রপ্রদেশের ১৬টি লোকসভা আসনে জয়ী হয়েছে। যার দৌলতে, নাইডু ফের জাতীয় রাজনীতিতে কিংমেকারের ভূমিকায়।
আরও পড়ুন- কেন্দ্রীয় এজেন্সি দেখেই বিজেপিতে ঝাঁপ, দলবদলু নেতাদের প্রত্যাখ্যান জনগণের
জনতা দল (ইউনাইটেড)
তাঁকে সম্ভাব্য বিরোধী দলের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে একসময় দেখা হচ্ছিল। সেই, নীতীশ কুমার ফের অবস্থান বদলে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএতে যোগ দিয়েছেন। অটলবিহারী বাজপেয়ীর জমানায় কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী হিসেবে তিনি দৃঢ়চেতা নেতা রূপে পরিচিত ছিলেন। ২০১৪ সাল থেকেই তা ক্রমশ বদলাতে থাকে। প্রধানমন্ত্রী পদে নরেন্দ্র মোদীকে মানতে না পেরে তিনি এনডিএ ছাড়েন। বিহারে 'সুশাসন বাবু' হিসেবে ভাবমূর্তি তুলে ধরার চেষ্টা করেন। ২০১৫ সালের বিহার বিধানসভা নির্বাচনের পরে বিরোধীদের শক্তিশালী মহাগঠবন্ধন গড়ে তোলেন। কংগ্রেস, আরজেডি, জেডি(ইউ) এবং বাম দলগুলোকে নিয়ে এই জোট তৈরি হয়েছিল। কিন্তু, নীতীশ ২০১৭ সালে জোট থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বিজেপির হাত ধরেন। ২০২২ সালে ফের মহাগঠবন্ধনে ফিরে আসেন। আবার, ২০২৪ সালে এনডিএ-তে যোগ দেন। এবারের লোকসভা নির্বাচনে তাঁর দল বিহারের ১২টি আসনে জিতেছে। ফলে, ফের কিংমেকার হওয়ার পথে নীতীশ কুমার।