কানাডায় ভারতীয় শিক্ষার্থীদের মুখে খুশি, ভারতে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্তে নিষেধাজ্ঞা। এর পরই ভারত সরকার এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে। পাশাপাশি সরকারি সূত্রে বলা হয়েছে প্রকৃত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৭০০-এর থেকেও অনেক কম। সূত্রের খবর বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এই বছরের এপ্রিলে তার কানাডা সফরের সময়ও বিষয়টি উত্থাপন করেছিলেন।
জাল ভর্তির চিঠি ব্যবহার করে কানাডায় ভিসা পাওয়ার অভিযোগে নির্বাসনের ভয়ে কিছু ভারতীয় ছাত্র কানাডিয়ান কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে স্থগিতাদেশ পেয়েছে। সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। ভারত বারবার কানাডিয়ান কর্তৃপক্ষকে মানবিকতার সঙ্গে বিষয়টিকে বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছে। ছাত্ররা কিছু এজেন্ট দ্বারা প্রতারিত হয়েছেন বলেও অভিযোগ সামনে এসেছে। পাশাপাশি বিষয়টির ওপর আগে কেন আলোকপাত হয়নি সেই নিয়ে ভারতের তরফে প্রশ্ন তোলা হয়। বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর নিজে এই বিষয়টি নিয়ে সেদেশের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে কথাও বলেন।
সূত্র মারফত পাওয়া খবর অনুসারে ২০১৭-২০১৯ সালের মধ্যে এই ছাত্রদের মধ্যে বেশিরভাগই কানাডায় গিয়েছিলেন। তাদের পড়াশুনা শেষ করার পর, তাদের মধ্যে কেউ কেউ ওয়ার্ক পারমিটও পেয়েছিলেন, অন্যরা কানাডায় তাদের পড়াশোনা চালিয়ে যান। ভারতের তরফে এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের কোন প্রকার দোষ না থাকায় কানাডিয়ান কর্তৃপক্ষকে মানবিকতার সঙ্গে বিষয়টিকে বিবেচনা করারও আবেদন জানানো হয়। গত কয়েকদিন ধরে কানাডার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাংসদ সদস্যরা ছাত্রদের সমর্থনে কথা বলেছেন। এর আগে, কানাডিয়ান বর্ডার সার্ভিসেস এজেন্সি প্রায় ৭০০ পড়ুয়ার মধ্যে থাকা লাভপ্রীত সিংকে দেশ ছাড়ার নির্দেশ দেয়।
কানাডায় ভারতীয় ছাত্রদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের পরে, ছাত্র বিক্ষোভে উত্তাল হয় কানাডা। এর পর ভারতীয় শিক্ষার্থীদের স্বস্তি দিয়েছে কানাডা সরকার। কানাডিয়ান বর্ডার সার্ভিসেস এজেন্সি (সিবিএসএ) লাভপ্রীত সিংকে ১৩ জুনের মধ্যে দেশ ছাড়ার নির্দেশ দেয় যখন কর্মকর্তারা জানতে পারেন যে অফার লেটারের ভিত্তিতে তিনি ছয় বছর আগে স্টাডি পারমিটে কানাডায় এসেছিলেন। যার ভিত্তিতে দেশের প্রায় ৭০০ ভারতীয় পড়ুয়াকে দেশ ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বৃহস্পতিবার (৮ জুন) আশ্বস্ত করেছেন যে তার সরকার বিষয়ের গুরুত্ব বুঝে যথাযথ পদক্ষেপ নেবে। তিনি সংসদে বিতর্কের সময় বলেছিলেন আমাদের ফোকাস দোষীদের শনাক্ত করা, ক্ষতিগ্রস্তদের শাস্তি দেওয়া নয়। ভারতের আম আদমি পার্টির সাংসদ বিক্রমজিৎ সিং সাহনি শুক্রবার (৯ জুন) বলেছেন যে কানাডা সরকার ৭০০ ভারতীয় ছাত্রকে নির্বাসনের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছে। সাহনি বিশ্ব পাঞ্জাবি সংস্থার আন্তর্জাতিক সভাপতি। তিনি বলেন, তার অনুরোধের পর এবং ভারতীয় হাইকমিশনের সহায়তায় কানাডা সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা তাদের চিঠি দিয়ে বুঝিয়েছি যে এই পড়ুয়ারা কোন জালিয়াতির সঙ্গে যুক্ত নয়। কিছু অননুমোদিত এজেন্ট জাল অ্যাডমিট কার্ড এবং অর্থপ্রদানের রসিদ ইস্যু করায় তারা প্রতারণার শিকার হয়।