ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে ৭ জুন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বাসমালিকরা। তার ফলে কলকাতা ও দুই ২৪ পরগনায় ওই দিন প্রায় ৯ হাজারের বেশি বাস ও মিনিবাস রাস্তায় নামবে না বলে বাস সংগঠনগুলির তরফে জানানো হয়েছে। ধর্মঘট নিয়ে কাজিয়া শুরু হয়েছে পরিবহণমন্ত্রী ও বাসমালিক সংগঠনের কর্তাদের মধ্যে। পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী ধর্মঘটীদের সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেছেন, ‘‘তৃণমূল কংগ্রেস সরকার দুর্বল নয়। গণপরিবহণ ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখার দায়িত্ব আমাদের। আমরা তিনটে জেলায় ১৫০০ বাড়তি বাস নামাব।’’ পাল্টা তোপ দেগেছেন মিনিবাস অপারেটর কো-অর্ডিনেশন কমিটির যুগ্ম সম্পাদক প্রদীপ নারায়ণ বসু। তিনি বলেছেন, ‘‘পরিবহণমন্ত্রী আদৌ পরিষেবা দিতে পারবেন না। রাতারাতি গাড়ি উনি কোথা থেকে আনবেন? বাস ভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাব ওঁর কাছে না পাঠিয়ে মুখ্য়মন্ত্রীর কাছে পাঠানো হচ্ছে বলে মন্ত্রী আমাদের বোকা বানাচ্ছেন।’’ তাঁর প্রশ্ন, নির্বাচন হলে কেন সরকারি বাস নেয় না। তখন পাবিলক বাস নেয় কেন।
এর আগে বাস ভাড়া বেড়েছিল ২০১৪ সালের ১ সেপ্টেম্বর। তখন ডিজেলের দাম ছিল ৬২ টাকা। কিন্তু ভাড়া বাড়ার পরে তেলের দাম কমে গিয়েছিল ৫৬-৫৭ টাকা। এখন দাম ৭১ টাকা ৪৩ পয়সা। তখন মিনি বাসের ক্ষেত্রে প্রথম ৩ কিলোমিটারে ভাড়া বেড়ে হয়েছিল ৭ টাকা। সর্বোচ্চ ভাড়া বেড়ে হয়েছিল ১২ টাকা। এবার ন্যূনতম ভাড়া ৯টাকা ও ঊর্ধ্বতম ভাড়া ২২ টাকা করার দাবি তোলা হয়েছে।
জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্য়োপাধ্য়ায় বলেছেন, ‘‘কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৭ হাজার বাস ও ২২০০ মিনিবাস চলবে না। আমরা চিঠি দিয়ে পরিবহণমন্ত্রীকে বিষয়টি জানিয়েছি। এখনও কোনও সাড়া দেননি মন্ত্রী। বুধবারও যদি কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া হয় তা হলে লাগাতার ধর্মঘট চলবে।’’ তিনি বলেছেন, ‘‘ডিজেলের সেস কমালে বাস ভাড়া বাড়ানোর দরকার পড়ত না।’’
পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী এখন রয়েছেন উত্তরবঙ্গে। তাঁর দফতরে আজ বাসমালিক সংগঠনের চিঠি পৌছালেও তিনি তা জানেন না। বাস ধর্মঘটের কথা শুনে কড়া প্রতিক্রিয়া ব্য়ক্ত করেছেন মন্ত্রী। তিনি বলেছেন, ‘‘কলকাতা ও শহরতলির জনজীবন স্বাভাবিক থাকবে। গণপরিবহণ ব্য়বস্থা দেখার দায়িত্ব আমার।’’