Chhattisgarh Journalist murder update: সাংবাদিক খুনে বিরাট সাফল্য পুলিশের। হায়দ্রাবাদ থেকে গ্রেফতার করা হল ছত্তিশগড়ের সাংবাদিক খুনে মূল অভিযুক্ত ঠিকাদার সুরেশ চন্দ্রকরকে। গ্রেফতারির পরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ১২০ কোটি টাকা কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে আনাতেই কী খুন হতে হয় তরুণ সাংবাদিককে?
ছত্তিশগড়ের বিজাপুরের সাংবাদিক খুনে এবার পুলিশের জালে রোড কনট্রাক্টর সুরেশ চন্দ্রকার। বিজাপুর সাইবার পুলিশ এবং SIT হায়দ্রাবাদ থেকে সুরেশকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের ধরতে প্রায় ৩০০ মোবাইল কল লিস্ট ২০০ সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করা হয়েছে।
ছত্তিশগড়ের বিজাপুর জেলার তরুণ সাংবাদিক মুকেশ চন্দ্রকর, ১২০ কোটি টাকার রাস্তা নির্মাণে দুর্নীতির খবর প্রকাশ্যে আনেন। এরপরই তাকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়। গত ১ জানুয়ারি থেকে নিখোঁজ ছিলেন মুকেশ। সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
রোড কনট্রাক্টর সুরেশ চন্দ্রকারের ভাই রিতেশ চন্দ্রকার, তার এই ঘনিষ্ঠ আত্মীয় দীনেশ চন্দ্রকার ও সংস্থার সুপারভাইজার মহেন্দ্র রামতেককে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। একইসঙ্গে এই ঘটনায় সুরেশের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। তদন্তে ১১ সদস্যের SIT গঠন করা হয়েছে।
অন্যদিকে, মুকেশের দেহের ময়নাতদন্ত ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। রিপোর্ট অনুসারেপ্রথমে সাংবাদিককে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। পরে তার মাথায় কুড়াল দিয়ে আঘাত করা হয়। যার কারণে মাথায় আড়াই ইঞ্চি ক্ষত তৈরি হয়। এর পর তরুণ সাংবাদিকের দেহ সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলে দেওয়া হয়।