ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর ভারত সফরের তিন দিন পর চিন ফ্রান্সের বিষয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছেন, ফ্রান্সের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে চায় চিন।
২৭ জানুয়ারি চিন এবং ফ্রান্স কূটনৈতিক সম্পর্কের ৬০ তম বছর পূর্ণ করেছে। এর পর এখন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছেন- বেইজিং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়নকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়। আমরা ফ্রান্সের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক জোরদার করে উন্নয়নের নয়া দিগন্ত উন্মোচন করতে আগ্রহী।
চিনের বক্তব্যও গুরুত্বপূর্ণ কারণ...
ভারত সফরের সময়, ফরাসি প্রেসিডনেট ম্যাক্রোঁ ভারতের সঙ্গে সহযোগিতা জোরদার করার পাশাপাশি ভারত মহাসাগরে একটি প্রতিরক্ষা রোডম্যাপ উন্মোচন করেছিলেন।
ভারত মহাসাগরে চিনের হস্তক্ষেপ বাড়ছে। তা মোকাবেলা করতে, ভারত ১৯ থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারি ভারত মহাসাগরে বৃহত্তম সামরিক মহড়ার আয়োজন করবে। এতে যুক্ত থাকবে ফরাসি নৌবাহিনীও। এছাড়া আমেরিকা, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ কোরিয়াসহ ৫০টি দেশের নৌবাহিনী এতে অংশ নেবে।
ভারত মহাসাগরে ফ্রান্সের কাছ থেকে ভারত যে সমর্থন পাচ্ছে তাতে চিনের উদ্বেগ বেড়েছে। এর পরেই চিন-ফ্রান্স সম্পর্ক জোরদার করতে মরিয়া। জিনপিংয়ের এই বক্তব্যকে ফ্রান্সকে তুষ্ট করার এক প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছেন, চিন ও ফ্রান্সের মধ্যে সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে হবে। চিন ও ফ্রান্সের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৬০ তম বছর পূর্তি উপলক্ষে তিনি বলেন যে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক খুবই মজবুত। সম্পর্কের উন্নয়নে আরও নতুন ইতিবাচক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা উচিত দু'দেশেরই।
চিনের প্রেসিডেন্টের এই বক্তব্য এমন সময়ে এসেছে যখন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ সম্প্রতি ভারত সফর করেছেন। এই সময়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে ফ্রান্স প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বৃদ্ধিসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে চুক্তিও করেছে।