ইন্দো-চিন সীমান্ত উত্তেজনা নিয়ে মুখ খুললো ভারতের দুই প্রতিবেশী নেপাল ও আফগানিস্থান। দ্বিপাক্ষিক, আঞ্চলিক ও বিশ্ব-শান্তি রক্ষায় ভারত-চিন শান্তিপূর্ণভাবে আলোচনার মাধ্যমে বিরোধ মিটিয়ে ফেলবে বলে আত্মবিশ্বাসী এই দুই দেশ। গালওয়ান উপত্যাকায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারত-চিন সেনাবাহিনী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে প্রাণ যায় ২০ ভারতীয় সেনা জওয়ানের। এই ঘটনার পর থেকে দিল্লি-বেজিংয়ের মধ্যে বিস্তর টানাপোড়েন চললেও ভারতের কোনও প্রতিবেশী কোনও মন্তব্য করেনি। এশিয়ার দুই মহাশক্তিধর রাষ্ট্রে দ্বন্দ্ব নিয়ে নেপাল ও আফগানিস্থানই প্রথম প্রকাশ্যে প্রতিক্রিয়া দিল।
নেপালের বিদেশমন্ত্রী এক বিবৃতিতে বলেছেন, 'নেপাল আঞ্চলিক ও বিশ্ব শান্তির' পক্ষে। আশা করব ভারত-চিন তাদের বৈপরত্য আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করবে। প্রতিবেশী মনোভাবের ভিত্তিতেই নেপালের দুই বন্ধু প্রতিবেশী ভারত-চিন বিরোধ মেটাবে বলে আমরা আত্মবিশ্বাসী। আঞ্চলিক শান্তি ও উন্নয়নের জন্য এই পদক্ষেপ খুবই জরুরি।' উল্লেখ্য মানচিত্রকে কেন্দ্র করে নেপালের সঙ্গে ভারতের মতপার্থক্য রয়েছে। ইতিমধ্যেই নেপাল পার্লামেন্চের দুই কক্ষেই দেশের সংশোধিত মানচিত্র বিল পাশ হয়ে গিয়েছে। ভারত নেপালের দাবি 'অযোক্তিক ও ঐতিহাসিকভাবে ভিত্তিহীন' বলে
বিবৃতিতে আফগান বিদেশমন্ত্রী জানিয়েছেন, 'সংঘাতের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত এক দেশের তরফে বলতে পারি ঐতিহাসিক, কৌশলগত দিক থেকে ভারত ও চিন আমাদের বন্ধু। এই দুই দেশের সংঘাতে উদ্বিগ্ন। আশা করব বিরোধ মিটবে। আঞ্চলিক ও বিশ্ব-শান্তির প্রেক্ষিতে এই বিরোধ কাম্য নয়।' পৃথিবীর দুই মহা শক্তিধর রাষ্ট্র সীমান্ত বিরোধ মিটিয়ে পেলতে পারবে বলে আশাপ্রকাশ করেছে ভারতের পশ্চিমের প্রতিবেশী রাষ্ট্রটি।
এই দুই দেশ ছাড়া মলদ্বীপ নিয়ন্ত্রণরেখায় চিনা হামলায় ভারতের ২০ সেনা জওয়ানের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে। মলদ্বীপের বিদেশমন্ত্রী আবদুল্লা শহিদ টুইটে মৃত ভারতীয় জওয়ানদের শ্রদ্ধা ও তাঁদের পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছেন।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন