পরকীয়া করছেন বলে একজন মহিলা সন্তানের কাস্টডি পাবেন না। দাম্পত্যে এটা কোনও যুক্তি হতে পারে না। কোনও ভাবেই এই সিদ্ধান্তে আসা যায় না, সেই মহিলা ভালো মা নয়। সাম্প্রতিক এক পর্যবেক্ষণে এই মন্তব্য করেছে পঞ্জাব-হরিয়ানা হাইকোর্ট। শুধু এটুকুই নয় পুরুষতান্ত্রিক সমাজে বৈবাহিক সমস্যায় সর্বদা মহিলাদের চরিত্র হনন করা হয়। এবং সেই অভিযোগগুলোর পিছনে অকাট্য কোনও যুক্তি থাকে না। এমন পর্যবেক্ষণও করেছে আদালত।
সম্প্রতি ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিবাহসূত্রে অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক এক মহিলা তাঁর সাড়ে ৪ বছরের কন্যা সন্তানের কাস্টডি দাবি করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। তাঁর স্বামীও অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক। কিন্তু বৈবাহিক সমস্যায় দু’জনেই আলাদা থাকেন। এরপর পারিপার্শ্বিক বিচার করে পাঞ্জাব-হরিয়ানা হাইকোর্টের বিচারপতি অনুপিন্দর সিং গ্রেওয়াল ওই মহিলার পক্ষেই রায় দেয়। যদিও তাঁর স্বামী অভিযোগ করেছিলেন, স্ত্রী তাঁদেরই এক আত্মীয়ের সঙ্গে পরকীয়ায় লিপ্ত।
রায়ে বিচারপতি বলেন, ‘একজন সন্তানের বেড়ে ওঠার জন্য মায়ের স্নেহ, টান এবং যত্ন দরকার। বিশেষ করে ৫ বছর বয়স পর্যন্ত। হিন্দু অভিভাবকত্ব আইনে মা, একজন সন্তানের প্রাকৃতিক অভিভাবক ৫ বছর পর্যন্ত।‘
এদিকে, আদালতে সেই মহিলার আবেদন, তাঁর স্বামী অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক। ২০১৩ সালে তাঁদের বিয়ে হয়েছে। পরে তিনি অস্ট্রেলিয়ান গিয়েছেন। ২০১৭ সালে দুজনের একটা কন্যা সন্তান হয়। তারপর থেকেই শুরু হয় দাম্পত্য কলহ।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন