হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনের সময় শাসক বিরোধী গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত হল নুহ জেলার একটি ভোটকেন্দ্র। জানা গিয়েছে, বিজেপি এবং কংগ্রেস সমর্থকদের মধ্যে আচমকাই পাথর ছোড়াছুড়ি শুরু হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি বুথের বাইরে ঘটায় ভোটকেন্দ্রের মধ্যে এর কোনও প্রভাব পড়েনি এবং গোটা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সোমবার হরিয়ানার ৯০টি আসনে ভোটগ্রহণ পর্ব চলছে। দুপুর ১২টা পর্যন্ত ২৫ শতাংশ ভোট পড়েছে হরিয়ানায়, এমনটাই জানা গিয়েছে। নির্বাচন কমিশনের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভোটদানে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে বিওয়ানি জেলা। বেলা ১২টা পর্যন্ত সেখানে ভোট পড়েছে ৩৬.৬ শতাংশ। এছাড়াও, পালওয়াল (২৯.৪৬%), সিরসা (২৭.৫৭%), ফতেহাবাদ (২৭.৫৭%) এবং হিসার (২৬.৭৫%) জেলাতেও ভোটদানের হারের সংখ্যা প্রকাশ করেছে কমিশন।
এদিন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর সাইকেল চালিয়ে ভোটকেন্দ্রে যান। অন্যদিকে, জননায়ক জনতা পার্টির দুষ্মন্ত চৌটালা নিজের পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে ট্র্যাক্টর করে ভোটকেন্দ্রে পৌঁছন। সোমবার হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনে প্রথম ভোটারদের মধ্যে ছিলেন হরিয়ানা কংগ্রেসের প্রধান কুমারী সেলজা, টিকটক তারকা এবং বিজেপির প্রার্থী সোনালী ফোগাত এবং কুস্তিগীর যোগেশ্বর দত্ত। সোমবার ভোটগ্রহণের আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টার টুইট করে ভোটারদের "গণতন্ত্রের উৎসবকে সমৃদ্ধ করতে" উৎসাহ দেন।
Elections are taking place for Haryana and Maharashtra assemblies. There are also by-polls taking place in various parts of India. I urge voters in these states and seats to turnout in record numbers and enrich the festival of democracy. I hope youngsters vote in large numbers.
— Narendra Modi (@narendramodi) October 21, 2019
প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনে দলের বিপুল পরিমাণ জয়কে কাজে লাগিয়ে হরিয়ানা সরকারের ক্ষমতায় আসতে মরিয়া রাজ্যের শাসক দল বিজেপি। অন্যদিকে, শাসকপক্ষকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ময়দানে নামছে কংগ্রেস, জননায়ক জনতা পার্টি, ভারতের জাতীয় লোকদল পার্টিও। হরিয়ানা বিধানসভায় মোট আসন সংখ্যা ৯০ এবং সেখানে রয়েছে ১.৮৩ কোটি ভোটার।
আরও পড়ুন- ‘সামনেই অযোধ্যা রায়, ধন্তেরাসে সোনা নয়, তলোয়ার কিনুন’
এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কংগ্রেস যখন হরিয়ানায় প্রত্যাবর্তনের প্রত্যাশা করছে, সেই সময়ই মনোহর লাল খট্টর নেতৃত্বাধীন বিজেপি বিধানসভায় কমপক্ষে ৭৫টি আসন জয়ের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েই নামছে লড়াইয়ের এই মঞ্চে। লোকসভা নির্বাচনে আশানুরূপ ফল করতে না পারলেও, দুষ্মন্ত চৌটালার নেতৃত্বাধীন জননায়ক জনতা পার্টি (জেজেপি), ভারতীয় জাতীয় লোকদল (আইএনএলডি) জয়ের আসন সংখ্যা বৃদ্ধির আশাও জারি রাখছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের থেকে কমপক্ষে ১১৬৯ জন প্রার্থী এই লড়াইয়ের মঞ্চে অংশগ্রহণ করেছেন। এদিকে, হরিয়ানার পাশাপাশি মহারাষ্ট্রেও চলছে ভোটগ্রহণ পর্ব। সেখানে অবশ্য বিজেপি-শিবসেনা জোটই ক্ষমতায় থাকতে বদ্ধপরিকর।
আরও পড়ুন- কমলেশ তিওয়ারি হত্যার নেপথ্যে ‘যড়যন্ত্র’, দাবি পরিবারের
অন্যদিকে, রবিবার, হরিয়ানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত ডিজি মনোজ যাদব জনগণকে আবেদন জানিয়েছেন তাঁদের নিজ নিজ ভোটগ্রহণ কেন্দ্রগুলিতে গিয়ে কোনওরকম প্ররোচনা ছাড়াই ভোটপর্ব গ্রহণ পর্ব সম্পন্ন করতে। প্রসঙ্গত, হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনী প্রচারের শেষ দিনে ভারতের পূর্বতন কংগ্রেস সরকারের উদ্দেশে আরও একবার আক্রমণ শানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর বক্তব্য, দেশের ‘গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি’ গত ৭০ বছর ধরে জম্মু-কাশ্মীরকে অবহেলা করে এসেছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, কেন কংগ্রেস ক্ষমতায় থাকতে সেরাজ্যে বাতিল করা হয় নি সংবিধানের ৩৭০ এবং ৩৫ ‘এ’ ধারা।
Read the full story in English