ফের কাশ্মীর ইস্যুতে মধ্যস্থতার প্রস্তাব মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। সোমবার, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে পাশে বসিয়ে এই প্রস্তাব দেন তিনি। বলেছেন, "ভারত ও পাকিস্তান চাইলে তিনি এই কাজ করতে রাজি আছেন।" রবিবার কাশ্মীরের বিষয় তুলে সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে নাম না করে পাকিস্তানকে তোপ দেগেছিলেন মোদী। হিউস্টনের সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ওই দিনের মন্তব্যকে 'খুব আগ্রাসী' বলে জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
সোমবার ইমরান খানের সঙ্গে বৈঠক করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ওই বৈঠকের পর নিউ ইয়র্কে এক যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, "কাশ্মীর একটি জটিল বিষয়। বহুদিন ধরেই এই সমস্যা চলে আসছে। এনিয়ে আমি মধ্যস্থতা করতে রাজী। তবে এতে দুপক্ষকেই রাজী হতে হবে।" তাঁর সংযোজন, "ইমরান খান ও নরেন্দ্র মোদী দুজনেই তাঁর ভালে বন্ধু। ফলে তিনি ভাল মধ্যস্থতাকারী হতেই পারেন।"
আরও পড়ুন: রাজীব কুমারের ছুটির মেয়াদ বাড়াল রাজ্য, ক্ষুব্ধ সিবিআই
কাশ্মীর ইস্যুতে প্রবল চাপে ইমরান সরকার। আন্তর্জাতিক মহলে সুরাহার নানা কৌশল করে তারা। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত সুবিধা করতে পারেনি। তাই পাক প্রধানমন্ত্রীর মুখে বারে বারেই উঠে এসেছে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের বিষয়। ভারত অবশ্য সেই প্রস্তাব আগেই নাকচ করেছে। ফেল, মধ্যস্থতার রফা থেকে পিছিয়ে এসেছিল ওয়াশিংটন। সোমবার, মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকেও ফের সেই আবেদন জানান 'কপ্তান'। তার প্রেক্ষিতেই ট্রাম্পের এই প্রস্তাব বলে মনে করছেন কূটনীতিকরা।
হিউস্টনের সভায় ট্রাম্পের সামনেই, নাম না করে মোদী পাকিস্তানকে আক্রমণ করেন। সন্ত্রাসবাদের আঁতুঘর পাকিস্তান। কার্যত এই ভাষাতেই তোপ দাগেন তিনি। ইমরানের পাশে বসে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যকে 'আগ্রাসী' বলে জানান মার্কিন প্রের্সিডেন্ট। তিনি বলেন, "আমি হিউস্টনের সবায় উপস্থিত ছিলাম। ভাবতে পারিনি এতটা আক্রমণাত্মক মন্তব্য শুনতে পাব। তবে পাকিস্তানের থেকেও তেহরান সন্ত্রাসবাদীদের আশ্রয়দাতা বলে বিশ্বাস করি।" প্রসঙ্গত, রবিবারের সভায় বক্তব্য রাখার সময় ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, নরেন্দ্র মোদী হলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে ভালে বন্ধু। উনি ভারতের জন্য ভালে কাজ করছেন।
আরও পড়ুন: ফের ধর্নার হুমকি, পথে নামছেন মমতা
ভারত-পাক বিতর্কের কেন্দ্রে কাশ্মীর। সেই কাশ্মীরিদের মানবাধিকার যেন লঙ্ঘন না হয়, তার জন্যও বিশেষ উদ্যোগের কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলায় পাকিস্তানের পদক্ষেপের প্রশংসা কেরন তিনি।
রবিবার পাকিস্তানের স্তুতি শোনা গিয়েছিল প্রধানমন্ত্রী মোদীর মুখে। ইমরানকে পাশে বসিয়ে ট্রাম্পের সোমবারের মন্তব্যে কিছুটা হলেও ধাক্কা খেয়েছে ভারতের অবস্থান। মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল। তবে, ভারতীয় কূটনীতিকদের মতে, ট্রাম্প স্পষ্ট করেছেন দুই দেশ না চাইলে মধ্যস্থতা সম্ভব নয়। বারত আগেই তার অবস্থান জানিয়েছে। আফগানিস্থানের কারণে আমেরিকা পাকিস্তানকে চটাতে নারাজ। সেই কারণেই ট্রাম্পের গলায় ফের 'মধ্যস্থতার প্রস্তাব প্রলেপ' বলে মনে করা হচ্ছে।
Read the full story in English