India-China Relations: চিন সফরে যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। দিল্লিতে তৎপর বেইজিংয়ের আধিকারিকরা, দুই দেশের সম্পর্ক কী আবারও ছন্দে ফিরতে চলেছে? তুঙ্গে চর্চা। ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় ফিরতেই সুর নরম চিনের। ভারতের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক ফিরিয়ে আনতে শুরু হয়েছে চূড়ান্ত তৎপরতা।
২০২০ সালে গালওয়ান সংঘর্ষের পর থেকে ভারত চিন সম্পর্ক একেবারে তলানিতে ঠেকেছে। সীমান্ত ইস্যুতে উত্তপ্ত হয়েছে দুদেশের সম্পর্ক। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় ফিরতেই ডিগবাজি চিনের। ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে মরিয়া বেজিং। চিন আশা করছে যে প্রধানমন্ত্রী মোদী আগামী বছর সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনে যোগ দিতে বেজিংয়ে সফর করবেন। গত মাসে, পাকিস্তানে একটি এসসিও বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যেখানে ভারতের পক্ষ থেকে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর অংশ নিয়েছিলেন।
ভারত ও চিন দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে অক্লান্ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। গত মাসে রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে কথোপকথন হয়। এর আগে, ভারত ও চিন এলএসি-তে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সেনা প্রত্যাহার করতে সম্মত হয়েছে। এখন দেখার বিষয় আগামীদিনে সময়ে উভয় দেশ সম্পর্ক উন্নয়নে আর কী কী পদক্ষেপ নিতে চলেছে।
তদন্তে নয়া মোড়, গ্রেফতার! কেন শাহরুখকে প্রাণনাশের হুমকি? রহস্য উন্মোচনে মরিয়া পুলিশ
রিপোর্ট অনুসারে, আগামী বছর চিনে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া SCO বৈঠকে যোগ দিতে বেজিং সফর করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নয়াদিল্লিতে চিনা দূতাবাসের কর্তারা সম্প্রতি ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে আলাপচারিতায় এমন সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন। রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে LAC-তে পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার পর, দুই দেশের মধ্যে সরাসরি বিমান পরিষেবা, মোবাইল অ্যাপের উপর নিষেধাজ্ঞা, চিনা নাগরিকদের ভিসা প্রদান, চিনা প্রেক্ষাগৃহে আরও ভারতীয় চলচ্চিত্র প্রদর্শন এবং চিনা সাংবাদিকদের ভারতে আসতে অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে ভাবনা চিন্তা চলছে। এর মাধ্যমে দু'দেশের মধ্যে সম্পর্ক অনেকটাই উন্নত হবে মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশারদরা। ।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, চিন আশা করছে যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আগামী বছর সাংহাই সহযোগিতা সংস্থায় যোগ দিতে বেজিং সফর করবেন। গত মাসে, পাকিস্তানে একটি এসসিও বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যেখানে ভারতের পক্ষ থেকে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর অংশ নিয়েছিলেন। চিনা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং প্রধানমন্ত্রী মোদী দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নত করতে চান। এ জন্য দুই দেশই আলাপ-আলোচনা চালাচ্ছে।
শাড়ি পরে দেবীবরণে পুরুষরা, তেঁতুলতলার বুড়িমার পুজোতে বড় চমক
চিনের বর্তমানে অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আমেরিকা একাধিক চিনা পণ্যের ওপর আমদানি শুল্ক আরোপ করেছে। এমন পরিস্থিতিতে চিন তার অর্থনীতি চাঙ্গা করতে চাইছে। ভারতের বৃহত্তম বাজারে চিন তাদের পণ্য বিক্রির মাধ্যমে অর্থনীতিকে ফিরিয়ে আনতে চাইছে। পাশাপাশি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে মোদীর ঘনিষ্ঠতার কথা চিনের জানা। চিন চাইছে না এই মুহূর্তে এমন কোন পদক্ষেপ নিতে যাতে চিন-আমেরিকা সম্পর্কে তা বিরূপ প্রভাব ফেলে।