করোনা-জব্দে টিকাকরণই একমাত্র হাতিয়ার। বারবার একথা বলে চলেছেন বিশেষজ্ঞরা। দেশজুড়ে জোরদার তৎপরতার সঙ্গে চলছে করোনার টিকাকরণ অভিযান। কেরলে আগামিকাল ১ নভেম্বর থেকেই খুলছে স্কুল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত দু'হাজারেরও বেশি শিক্ষক করোনার টিকা নেননি। এঁদের অনেকে শুধুমাত্র ধর্মীয় কিছু বিশ্বাসের বশবর্তী হয়েই টিকাকরণ এড়িয়েছেন। তবে টিকা না নেওয়া শিক্ষকদের বিরুদ্ধে এবার কড়া অবস্থান রাজ্য সরকারের। কেরলের শিক্ষামন্ত্রী ভি শিভানকুট্টি স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন, টিকা না নেওয়া রাজ্যের ২ হাজার ২৮২ জন শিক্ষক স্কুলে গিয়ে ক্লাস নিতে পারবেন না।
দেশের মধ্যে সবার আগে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে কার্যত নজির গড়েছিল দক্ষিণের রাজ্য কেরল। করোনা-জব্দে কেরলকে মডেল হিসেবে তুলে ধরেছিল একাধিক রাজ্য। তবে করোনার দ্বিতীয় ধাক্কায় তছনছ 'ঈশ্বরের নিজের দেশ'। এখনও পর্যন্ত দেশের মধ্যে কেরলের সংক্রমণ পরিস্থিতিই সবেচেয়ে বেশি উদ্বেগজনক।
বর্তমানে দেশের অধিকাংশ করোনা রোগীই কেরলের বাসিন্দা। এই পরিস্থিতিতেই আগামিকাল অর্থাৎ ১ নভেম্বর থেকে কেরলে খুলে যাচ্ছে স্কুল। তবে এখনও পর্যন্ত রাজ্যের দু'হাজারের বেশি শিক্ষক করোনার টিকাই নেননি। অনেকে শারীরিক কিছু সমস্যার কথা জানিয়ে টিকা নেননি। অনেকে আবার শুধুমাত্র ধর্মীয় বিশ্বাসের বশবর্তী হয়েই টিকাকরণ এড়িয়েছেন।
আরও পড়ুন- দেশের কোভিড-গ্রাফ নিম্নমুখী, ২৪৭ দিনে সর্বনিম্ন অ্যাক্টিভ কেস
টিকা না নেওয়া শিক্ষকরা স্কুলে যেতে পারবেন না। এব্যাপারে কেরলের শিক্ষামন্ত্রী ভি শিভানকুট্টি বলেন, “টিকা না নেওয়ার কারণ হিসেবে শিক্ষকদের একাংশ অ্যালার্জির মতো স্বাস্থ্যগত কিছু বিষয়ের উল্লেখ করেছেন। অন্যরা কিছু বিশ্বাসের উপর ভর করে কোভিড টিকা নেননি। সরকার চায় শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ বিবেচনা করেই প্রত্যেক শিক্ষক টিকা গ্রহণ করুন। তবে এব্যাপারে এখনই কোনও নির্দেশ জারি করা হচ্ছে না। টিকা না নেওয়া শিক্ষকদের স্কুল প্রাঙ্গণ থেকে দূরে রাখাই ভালো। তবে তাঁরা অনলাইন ক্লাস নিতে পারেন।” কেরলে ১ লক্ষ ৬০ হাজার স্কুল শিক্ষক এবং ২০ হাজার অশিক্ষক কর্মচারী রয়েছেন।
Read full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন