রামজন্মভূমি বিতর্কের পরবর্তী অধ্যায়ে কাশী আর মথুরা। দীর্ঘদিন ধরেই সেদিকে চোখ বিশ্ব হিন্দু পরিষদের। যা নিয়ে স্লোগানও তুলেছিল সংঘ পরিবারের এই শরিক- 'অযোধ্যা পে ঝাঁকি হ্যায়, কাশী-মথুরা বাকি হ্যায়।' ইতিমধ্যে কাশীর জ্ঞানবাপী মসজিদ নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। সমীক্ষা হয়ে গিয়েছে। সোমবারই আদালতের নির্দেশে জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বর সিল করে সেখানে সিআরপিএফ মোতায়েন করা হয়েছে। তারপরও বিতর্ক থামছে না। মসজিদের কূপের মধ্যে থাকা শিবলিঙ্গের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিচ্ছেন সংঘ পরিবারের লোকজন। ওই চত্বরে থাকা নন্দীর মুখ সেই শিবলিঙ্গের দিকে। সেই ছবিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। সঙ্গে চলছে জ্ঞানবাপীতে মন্দির নির্মাণের পক্ষে নানা কাহিনির প্রচার।
Advertisment
তারই মধ্যে মঙ্গলবার কৃষ্ণজন্মভূমি ইস্যুও আরও বিতর্কের জন্ম দিল। জ্ঞানবাপীর শিবলিঙ্গে পুজো করতে চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কয়েকজন মহিলা। মথুরার কৃষ্ণজন্মভূমিতে রয়েছে শাহি ইদগা মসজিদ। সেই মসজিদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে। তার প্রেক্ষিতে মসজিদ ও সেই চত্বরের ওপর সমীক্ষার আর্জি শুনতে রাজি হয়েছে আদালত। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বিরাজমান ও মণীশ যাদবের করা এই আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ১২ মে এলাহাবাদ হাইকোর্ট বলেছে, 'মথুরার দায়রা বিচারককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আবেদনগুলি দ্রুততার সাথে বিচার করে সিদ্ধান্ত নিতে। চার মাসের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যে তারিখ থেকে এই আদেশের একটি প্রত্যয়িত লিপি তাঁর সামনে উপস্থাপন করা হবে, তারপর থেকে দ্রুত বিচার চালাতে হবে।'
তারপরই মথুরার দায়রা বিচারকের এজলাসে শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমির পক্ষে আবেদন জমা পড়েছে। সেই আবেদনে, মসজিদ চত্বরে হিন্দু প্রত্নবস্ত ও প্রাচীন ধর্মীয় শিলালিপির অস্তিত্ব নির্ধারণের জন্য সমীক্ষার আবেদন জানানো হয়েছে। জ্ঞানবাপি মসজিদ সংক্রান্ত মামলার কায়দায় মথুরার মসজিদ চত্বরেও সমীক্ষা করার জন্য একজন অ্যাডভোকেট কমিশনার চাওয়া হয়েছে। এই আবেদনটি করেছেন মণীশ যাদব। তিনি নারায়ণী সেনা নামে এক সংগঠনের সর্বভারতীয় সভাপতি। এই আবেদনটি ১ জুলাই শুনানির জন্য আদালতে উঠবে।