প্রয়াত হলেন মতুয়া মহাসংঘের সর্বভারতীয় প্রধান উপদেষ্টা 'বড়মা' বীণাপাণি দেবী। আজ রাত নটা নাগাদ মাল্টি অর্গান ফেলিওরের ফলে প্রয়াণ ঘটে তাঁর। হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এবং রাজ্য সরকারের একাধিক মন্ত্রী এবং তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক ও সাংসদ। বড়মার প্রয়াণের ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। জানা গিয়েছে, আগামিকাল, বুধবার, পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় মতুয়া ঠাকুরবাড়িতে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
অসুস্থ বীণাপাণি দেবীকে দেখতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এসএসকেএম হাসপাতালে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে শতায়ু বীণাপাণি দেবীকে সংবর্ধনা জ্ঞাপন করতে মুখ্যমন্ত্রী ঠাকুরনগরে গিয়েছিলেন। তখন সেখানে একাধিক প্রকল্পের ঘোষণাও করেছিলেন মমতা। সম্প্রতি তিনি জানিয়েছেন, বীণাপাণি দেবীকে সাম্মানিক ডি-লিট উপাধিতে ভূষিত করা হবে।
শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হওয়ায় কল্যাণীর জওহরলাল নেহরু হাসপাতাল থেকে কলকাতায় এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল বড়মা বীণাপাণি দেবীকে। মতুয়া মহাসংঘের বড়মা দীর্ঘদিন ধরেই শয্যাশায়ী ছিলেন। শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। ২ ফেব্রুয়ারি ঠাকুরনগরে বড়মার সঙ্গে সাক্ষাত করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
রবিবার রাজ্যের খাদ্য মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্রর তত্ত্বাবধানে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বীণাপাণি দেবীকে। ডা. রজত চৌধুরীর নেতৃত্বে মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়। শারীরিক অবস্থার এতটাই অবনতি হয় যে সোমবার রাতে তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখতে হয়। এসএসকেএম সূত্রে খবর পাওয়া যায়, তাঁর অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক। মাল্টি অর্গান ফেলিওরের দিকে যাচ্ছেন তিনি।
রাজ্যের ভোট রাজনীতিতে মতুয়া মহাসংঘ এখন একটি অন্যতম উপাদান। বড়মা থাকাকালীনই মতুয়া পরিবার দুভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। আশীর্বাদ পেতে বড়মাকে নিয়ে টানাটানিও চলেছে। তাঁর ১০০ বছর পূর্ণ হওয়ায় ঠাকুরনগরে গিয়ে সংবর্ধনা দিয়ে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই বাড়ির গৃহবধূ মমতাবালা ঠাকুর তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ। অন্যদিকে ২ ফেব্রুয়ারি তাঁর নাতি শান্তনু ঠাকুরের আহ্বানে ঠাকুরনগর যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ঠাকুরনগরের মাঠে সভাও করেন মোদী।