দেশজুড়ে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। বর্তমানে ভারতের ১৭ রাজ্যে ৪২২ জন করোনার এই নয়া ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমিত। ফলে শঙ্কাও গাঢ় গচ্ছে ক্রমশ। আক্রান্তের নিরিখে শীর্ষে মহারাষ্ট্র। এই রাজ্যে ওমিক্রন সংক্রমিতের সংখ্যা এখনও পর্যন্ত ১০৮। এছাড়াও দিল্লি (৭৬), গুজরাট (৪৩), তেলেঙ্গানা (৪১), কেরালা (৩৮) ও তামিলনাড়ুও (৩৪) স্বাস্থ্যকর্তাদের কাছে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সংক্রমণ রুখতে বিঙভিন্ন রাজ্যের তরফে নানা বিধিনিষেধ আরোপের পদক্ষেপ করা হয়েছে।
একনজরে দেশের কোন রাজ্যে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে-
কর্নাটক-
আগামী মঙ্গলবার থেকে ১০ দিন, দক্ষিণী এই রাজ্যে রাত ১০ থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত রাত্রীকালীন কার্ফু কার্যকর থাকবে। নবর্ষকে কেন্দ্র করে জমায়েত ও পার্টিতে নানা বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
কোনও খোলা এলাকায় বা মঞ্চে ডিজে-র আসর বসায় নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। হোটেল, পাব, ডিস্কো মোট সামর্থের ৫০ শতাংশ নিয়ে উদযাপন করা যেতে পারে।
হরিয়ানা-
হরিয়ানায় আগামী নির্দেশিকা প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত না আশা পর্যন্ত রাত ১০ থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত রাত্রীকালীন কার্ফু কার্যকর থাকছে। পাবলিক প্লেসের অনুষ্ঠান সহ নানা আয়োজনে সর্বাধিক ২০০ জন পর্যন্ত হাজির হতে পারবেন। ওমিক্রন রুখতে মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলায় সতর্ক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মনোহরলাল খট্টর প্রশাসন। টিকাকরণে জোর দেওয়া হচ্ছে। করোনা পজিটিভ হলেই সেই নমুনা জিনোনেম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠানো হচ্ছে।
মহারাষ্ট্র-
রাত ৯টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত পাবলিক প্লেসে পাঁচ জনের বেশি জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা। প্রকাশ্যে জলসাতেও বিধি আরোপ হয়েছে। বিয়ের অনুষ্ঠানে ইন্ডোরে ১০০ ও আউট-ডোরে সর্বাধিক ২৫০ জনের জমায়েত বেঁধে দিয়েছে প্রশাসন। এছাড়া জিম,স্পা, হোটেল, থিয়েটার, সিনেমায় মোট আসনের ৫০ শতাংশ হাজির হতে পারবেন।
রাজ্যে মেডিক্যাল অক্সিজেনের চাহিদা ৮০০ মেট্রিকটন স্পর্ষ করলে লকডাউন জারির সিদ্ধান্ত বিবেচনা করবে মহারাষ্ট্র প্রশাসন।
উত্তরপ্রদেশ-
রাত ১০ থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত রাত্রীকালীন কার্ফু লাগু হবে। এছাড়া জমায়েতে সর্বাধিক সংখ্যা ও অন্যান্য বিধিনিষেধ বেঁধে দেওয়া হয়েছে। বাজারগুলিতে সচেতনতা প্রচারে আচমকা হানার (মাস্ক নেহি তো সামান নেহি) সিদ্ধান্ত হয়েছে।
দিল্লি-
বর্ষবরণের সব প্রাকাশ্য উদযাপন, জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। সব ধরণের রাজনৈতিক, সামাজিক, ক্রীড়া, বিনোদনমূলক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় জমায়েতের উপর গত ১৫ ডিসেম্বর থেকে নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে।
বিধি লংঘন হচ্ছেকিনা তা দেখতে বার, রেস্টোরাঁয় অভিযানে যাচ্ছেন প্রশাসনের কর্মীরা।
গুজরাত-
৩১ ডিসেম্বর ছাড়া গত ২০ তারিখ থেকে রাত ১ থেকে সকাল ৫টা পর্যন্ত নাইট কার্ফু জারি থাকছে।
এই রাজ্যের ৯ জেলায় ওমিক্রন সংক্রমিতের হদিশ মিলেছে।
মধ্যপ্রদেশ-
গত বৃহস্পতিবার থেকে রাত ১০ থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত রাত্রীকালীন কার্ফু কার্যকর থাকছে।
তামিলনাড়ু-
সংক্রমণ রুখতে সব দোকান, বাণিজ্যিক কমপ্লেক্স, সিনেমা হলে স্বাস্থ্যবিধি কড়া হাতে কার্যকরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যবাসীতে অহেতুক জমায়েত না করার অনুরোধ করেছে স্ট্যালিন সরকার।
মাস্ক পড়া ও দূরত্ববিধি মেনে চলার আহ্বান করা হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গ-
কোভিডবিধি ১৫ ডিসেম্বর থেকে আরও এক মাস বৃদ্ধি করা হয়েছে। রাত ১১ থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত রাত্রীকালীন কার্ফু জারি আছে। তবে এই সময়কালে জরুরি পন্যেরগাড়ি যাতায়াতে ছাড় রয়েছে।
জম্মু-কাশ্মীর-
যাঁরা উপত্যাকায় আসছেন তাঁদের ব়্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন- কোভিডের ‘সতর্কতামূলক’ ডোজ সম্ভবত পৃথক ভ্যাকসিন, তালিকায় এগিয়ে কোনগুলি?
Read in English