পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী ক্ষোভের প্রেক্ষিতেই এবার মুখ খুলল সে দেশের বিদেশ মন্ত্রক। অভিযোগ, শনিবার রাতে পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রক ও সেনাবাহিনীর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট হ্যাক করা হয়েছে, এবং দেশের বাইরের ব্যবহারকারীরা ঢুকতে পারছেন না ওয়েবসাইটে। আরও অভিযোগ, সাইবার আক্রমণ ভারত থেকেই করা হয়েছে।
বিদেশ মন্ত্রকের ওয়েবসাইটটি পাকিস্তানে কোনো ঝামেলা ছাড়াই কাজ করছে, তবে মুখপাত্র ডঃ মোহাম্মদ ফয়সাল বলেন, নেদারল্যান্ডস, অস্ট্রেলিয়া, ব্রিটেন এবং সৌদি আরবের ব্যবহারকারীরা ওয়েবসাইটটিতে ঢুকতে পারছেন না। তিনি আরও জানান, "আমাদের আইটি কর্মীরা বর্তমানে হ্যাকারদের আক্রমণকে ব্যর্থ করার কাজে লেগে পড়েছেন।"
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ওয়েবসাইটটিও (www.pakistanarmy.gov.pk) প্রবেশযোগ্য ছিল না। বলা হচ্ছিল, পাকিস্তানেই ব্যান করে দেওয়া হয়েছে, আপনার 'আইপি অ্যাডরেস' যেখানকার, সেখানে নিষিদ্ধ করা হয়েছে এই ওয়েবসাইট।
কাশ্মীর উপত্যকায় মারাত্মক জঙ্গী হানায় গত বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ান। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার এই ঘটনায় বিস্ফোরক বোঝাই একটি এসইউভি চালিয়ে সিআরপিএফ-এর বাসে ধাক্কা মারে এক সুইসাইড বম্বার। ঘটনার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গী সংগঠন জইশ-এ-মহম্মদ, এবং জানিয়েছে যে আত্মঘাতী ২০ বছর বয়সী ওই জঙ্গী পুলওয়ামা জেলারই বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: ‘আমরা দরজা খুলতে পারছি না। খুব ভয় লাগছে’
৫০ টিরও বেশি দেশ এই জঙ্গী হামলার বিরুদ্ধে নিন্দা জানিয়েছে এবং পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারতকে সমর্থন করেছে। সবচেয়ে বড় কূটনৈতিক পাওনা - সৌদি আরব, তুরস্ক ও ইরানও এই মারাত্মক ঘটনাকে ঘিরে নিন্দার ঝড় তুলেছে। চিরকাল কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানকে সমর্থন করা দেশ এগুলি। তারাও এই ঘটনাকে সমর্থন জানায় নি।
কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার ঘটনায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রাথমিকভাবে পাকিস্তানকে দেওয়া ‘মোস্ট ফেভারড নেশন’-এর তকমা প্রত্যাহার করেছে কেন্দ্র। শুক্রবার এমনটাই জানান কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। কাশ্মীরে হামলা নিয়ে শুক্রবার সকালে রাজধানীতে জরুরি বৈঠকে বসে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটি। সেই বৈঠকেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এই কড়া পদক্ষেপ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে।
Read the full story in English