Advertisment

ভণ্ড সাধুদের খুঁজতে তৎপর উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন

এবার থেকে অযোধ্যা এবং অন্যান্য এলাকায় যত সাধুসন্ত ঘুরে বেড়ান, তাঁরা খাঁটি সাধু কী না তা খতিয়ে দেখা হবে, চলবে পুলিশি তদন্ত, যদিও ঠিক কী হবে তদন্তের প্রক্রিয়া, তার কোনও হদিস মেলেনি এখনও।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
sadhu-lead

ভন্ড সাধু পাকড়াও করতে তৎপর প্রশাসন।

আমাদের সমাজে ভণ্ড তপস্বীর গল্প নতুন কিছু নয়। কিন্তু ভণ্ড সাধুদের শায়েস্তা করতে মাঠে নামছে প্রশাসন, এমনটা বড় একটা ঘটে না। এবার উত্তর প্রদেশের ফইজাবাদ জেলা প্রশাসনের সৌজন্যে তাই ঘটতে চলেছে।

Advertisment

এবার থেকে অযোধ্যা এবং অন্যান্য এলাকায় যত সাধুসন্ত ঘুরে বেড়ান, তাঁরা খাঁটি সাধু কী না তা খতিয়ে দেখা হবে, চলবে পুলিশি তদন্ত, যদিও ঠিক কী হবে তদন্তের প্রক্রিয়া, তার কোনও হদিস মেলেনি এখনও। ইতিমধ্যে এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন বেশ কিছু সাধু সংগঠন।

পুলিশি তদন্তের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হবে ২০১৯-এর কুম্ভ মেলায়। বলার অপেক্ষা রাখে না, অযোধ্যার এই বিখ্যাত মেলায় দেশের কয়েক লক্ষ সাধু জমা হন প্রতি বছর। প্রশাসনের এই পদক্ষেপকে বাহবা জানিয়ে এক সাধু বলেন, ''এটা খুবই ভাল পদক্ষেপ, আমরা এটাকে স্বাগত জানাই। এর ফলে মানুষ প্রতারিত হওয়া থেকে বাঁচবেন, শুধু তাই নয়, আমাদের অর্থাৎ সাধুদের ভাবমূর্তিও খারাপ হবে না।''

প্রসঙ্গত, সার্কেল অফিসার (CO) আর কে রাও বলেন, এই পদক্ষেপ বাস্তবায়নের আগে সমস্ত আইন মাথায় রেখে তবেই এগোতে হবে। সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, দেশে ধর্মের মুখোশের আড়ালে যেসব অপরাধমূলক কাজকর্ম চলে তা কমাতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে পুলিশি তদন্ত প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছে। তথ্যের ওপর নির্ভর করে দফতর একটি ডেটাবেস তৈরি করবে। এই ধরনের ডেটাবেস বানিয়ে তবেই কাজে নামলে কাজ আরও সহজ হবে বলে তিনি মনে করছেন।

দেশের কিছু অন্যতম ভণ্ড সন্ত, যেমন গুরমিত সিং, আসারাম বাপু, ডাটি মহারাজ, আগেই ধরা পড়েছেন। যাঁরা মুখোশের আড়ালে ধর্ষণের মতো ঘৃণ্য অপরাধও চালিয়ে যেতেন।

national news uttar pradesh asaram bapu
Advertisment