আগামী ১৬ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে জোশীমঠের সংকট নিয়ে শুনানি। মঙ্গলবার এমনটাই জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। একইসঙ্গে আদালত জানিয়েছে, জোশীমঠের সংকট মোকাবিলার জন্য গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রতিষ্ঠান রয়েছে। একইসঙ্গে কার্যত বিরক্তি প্রকাশ করে শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, যাবতীয় বিষয় আদালতে নিয়ে চলে আসার কোনও দরকার নেই।
আবেদনকারীর আইনজীবী বুধবার এই মামলার শুনানি করার জন্য আদালতের কাছে আহ্বান জানিয়েছিলেন। তার প্রেক্ষিতে আইনজীবীকে আদালত বলে, 'দেশে যা গুরুত্বপূর্ণ, সবকিছুই আমাদের কাছে নিয়ে চলে আসতে হবে, এমন কোনও কথা নেই। দেশে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রতিষ্ঠান আছে। তারা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে থাকা বিষয়গুলো ভালোভাবেই মোকাবিলা করতে পারে।'
আইনজীবী বিচারপতি পিএস নরসিমহার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চকে বলেন, 'বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, লোকজন রাস্তায় থাকতে বাধ্য হয়েছেন।' বিচারপতি নরসিমহা পালটা বলেন, 'গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সংস্থাগুলো বিষয়টি দেখছে।' উত্তরাখণ্ডের জোশীমঠের বহু রাস্তা ও বিভিন্ন বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। তার সপ্তাহখানেক পর, প্রশাসন জোশীমঠের ঘটনাকে ভূমিধস আর, জোশীমঠ অঞ্চলকে তলিয়ে যাওয়া এলাকা বলে ঘোষণা করেছে।
শংকরাচার্য অভিমুক্তেশ্বরানন্দ আদালতে পেশ করা তাঁর আবেদনে জোশীমঠের পরিস্থিতিকে জাতীয় বিপর্যয় ঘোষণা করার আবেদন জানিয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি জোশীমঠের বাসিন্দাদের সাহায্য ও সহায়তা করার জন্য জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হোক বলেই আদালতের কাছে আবেদন জানান।
আরও পড়ুন- এজলাসে ঢুকতে ‘বাধা’, আদালত অবমাননার রুল জারি বিচারপতি মান্থার
আবেদনকারী অভিমুক্তেশ্বরানন্দর অভিযোগ, লাগাতার উন্নয়নের নামে পরিবেশের ভারসাম্যকে নষ্ট করার চেষ্টা হয়েছে। তার জেরেই জোশীমঠের এই ধস পরিস্থিতি। তিনি আবেদনে বলেন, 'মানুষের জীবন ও বাস্তুতন্ত্রের মূল্যে কোনও উন্নয়নের প্রয়োজন নেই। আর, যদি সেভাবে উন্নয়ন করার চেষ্টা হয়, তবে যেন কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার মিলিতভাবে পরিস্থিতির মোকাবিলা করে। এমন ধারায় উন্নয়ন করার চেষ্ট বন্ধ করা হয়।' সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে এই মামলা চলছে। আর, সেই মামলাতেই এমন সব কড়া মন্তব্যগুলো করেছে আদালত।
Read full story in English