Advertisment

সংক্রমিত বন্দির সঙ্গে এক সেলে রাখাই কাল, করোনায় মৃত্যু প্রাক্তন সাংসদ সাহাবুদ্দিনের

শেষপর্যন্ত মারণ ভাইরাস প্রাণ কাড়ল একসময়ে বিহারের দোর্দণ্ডপ্রতাপ এই বাহুবলী নেতার।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

মহম্মদ সাহাবুদ্দিন। ফাইল ছবি

সংক্রমিত কয়েদির সঙ্গে একই সেলে রাখার মাশুল গুনলেন বিহারের প্রাক্তন সাংসদ মহম্মদ সাহাবুদ্দিন। শনিবার সকালে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। বেশ কয়েকদিন আগে দিল্লি হাইকোর্টে তিহার জেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন প্রয়াত আরজেডি নেতার আইনজীবী সলমন খুরশিদ ও রণধীর কুমার। সেই মামলায় দাবি ছিল, সংক্রমিত কয়েদির সঙ্গে একই সেলে রাখা হয়েছিল প্রাক্তন সাংসদকে। ফলত তিনিও সংক্রমিত হন। এদিন ডিডিইউ হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর।

Advertisment

গত ১৯ এপ্রিল করোনায় আক্রান্ত হন জেলবন্দি সাহাবুদ্দিন। এরপর অবস্থার অবনতি হলে ২০ তারিখ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। গত ২৮ এপ্রিল হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, সাহাবুদ্দিনকে যথাযথ চিকিৎসার আওতায় রাখা হোক। নিয়মিত ডাক্তাররা যেন তাঁকে পর্যবেক্ষণ করেন। আইনজীবীরা আদালতে জানিয়েছিলেন, করোনা সংক্রমিত কয়েদির সঙ্গে একই সেলে রাখা হয়েছিল প্রাক্তন সাংসদকে। এই রোগের কী পরিণাম তা জানা সত্ত্বেও জেল কর্তৃপক্ষ কোনও কর্ণপাত করেনি। বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও সেল বদলানো হয়নি। একজন বন্দির জীবনকে বিপন্ন করল জেল কর্তৃপক্ষ।

সাহাবুদ্দিনের পরিবারের সঙ্গেও কথা বলার অনুমতি দেয় আদালত। তাঁদের জেলবন্দি নেতার স্বাস্থ্যের সম্পর্কে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। প্রয়োজনে পরিবারের কোনও ডাক্তারও টেলিফোনে পরামর্শ দিতে পারবেন। বাজারে করোনার চিকিৎসার ওষুধের আকালের জন্য সাহাবুদ্দিনের স্বাস্থ্যের অবনতি বলে দাবি করেছেন আইনজীবীরা। আরও অভিযোগ, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন সাহাবুদ্দিন। কিন্তু শেষপর্যন্ত মারণ ভাইরাস প্রাণ কাড়ল একসময়ে বিহারের দোর্দণ্ডপ্রতাপ এই বাহুবলী নেতার।

coronavirus Tihar Jail Mohammad Shahabuddin
Advertisment