দেশের পূর্বে অরুণাচল সীমান্তে চিনা ফৌজের আনাগোনা গত একবছরে ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। সেনা কর্তারা মুখে যাই বলুন যে সামান্য গতিবিধি বেড়েছে, কিন্তু পরিসংখ্যান বলছে, ২০২০ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে পিপলস লিবারেশন আর্মির টহলদারি এবং চিনা ফৌজের শীর্ষ আধিকারিকদের আনাগোনা তাওয়াং সেক্টরে অনেকটাই বেড়েছে।
আগের দুবছরের তুলনায় তাওয়াংয়ের তিনটি সেক্টরে লালফৌজের টহলদারি, গতিবিধি, প্রশিক্ষণ এবং শীর্ষ সেনাকর্তাদের আসা-যাওয়া গত বছর থেকে বেড়েছে। লুংগ্রোলা, জিমিথাং এবং বুমলা সেক্টরে লালফৌজের উপস্থিতি অনেকটাই বেড়েছে বলে সেনার নজরদারিতে তথ্য উঠে এসেছে। সবচেয়ে বেশি গতিবিধি লক্ষ্য হয়েছে জিমিথাং সেক্টরে। সেখানে লালফৌজের টহলদারি বৃদ্ধি পেয়েছে একবছরে ৩৩ থেকে ১০২-এ। এবছর সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ওই সেক্টরে ৮৪ বার চিনা সেনাকর্তারা এসেছেন।
২০১৯ সালে যেখানে ছবার টহলদারি দেখা গিয়েছিল। পরের বছর সেটা বেড়ে হয় ১১। চলতি বছর সেপ্টেম্বর পর্যন্ত লালফৌজের টহলদারি হয়েছে ওই এলাকায় একডজনের মতো। লুংগ্রোলাতেও চিনা সেনার গতিবিধি বেড়েছে। ২০১৯ সালে ২১ বার টহলদারি থেকে বেড়ে ২০২০ সালে ৩৪ বার হয়েছে। চলতি বছর এখনও পর্যন্ত ৫০ বার টহলদারি হয়েছে। চিনা ফৌদজের কর্তাদেরও আনাগোনা বিগত দুবছরে অনেকটাই বেড়েছে। চলতি বছর সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত চিনা সেনাকর্তারা এই এলাকায় ঘুরে গেছেন অন্তত ২০ বার।
তৃতীয় সেক্টর বুমলায় অবশ্য ততটা গতিবিধি বৃদ্ধি পায়নি। এই অঞ্চলে দুপক্ষের সেনাকর্তারা বৈঠকও করেছেন। এরিয়া ডমিনেশন প্যাট্রল অনেকটাই বাড়িয়েছে চিনা ফৌজ। বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে, তাওয়াং সেক্টরে প্যাট্রলিং বাড়িয়েছে চিনা সেনা। কারণ সেখানে কাজ করার পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। জিমিথাংয়ে এরিয়া ডমিনেশন প্যাট্রলিং চলতি বছর বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ বার। ২০১৮ সালে যেটা ছিল ১২। লুংগ্রোলাতে প্যাট্রলিং সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হয়েছে ২৫ বার। গত বছরের থেকে ১০ বার বেশি।
আরও পড়ুন পেগাসাস মামলায় বুধবার সুপ্রিম রায়দান! ৫ রাজ্যে ভোটের আগে অস্ত্রে শান বিরোধীদের
শুধু টহলদারি নয়, তাওয়াং সেক্টরে হাল্কা ও ভারী সেনা গাড়ির গতিবিধিও বেড়েছে। গত বছরের পরিসংখ্যান না থাকলেও সেনা সূত্র বলছে, গাড়ির আনাগোনা বাড়ছে পরিকাঠামোগত উন্নয়নের ফলে। ইস্টার্ন আর্মি কম্যান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল মনোজ পাণ্ডে গত সপ্তাহে বলেছেন, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর চিনা ফৌজের পরিকাঠামোগত উন্নয়ন চোখে পড়েছে। সেই কারণে আরও বেশি পরিমাণে সেনা সেই এলাকায় মোতায়েন সম্ভব হয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন