২০১৮তেই পাশ হল 'আর্থিক কারচুপি আইন'। আইন হওয়ার পর দেশের প্রথম 'পলাতক আর্থিক অপরাধী'র-এর খেতাব জুটল বিজয় মালিয়ার। মুম্বইয়ের দুর্নীতি বিরোধী আদালত ইডি-র আবেদন শুনে মালিয়াকে 'ফিউজিটিভ ইকনমিক অফেন্ডার' হিসেবে ঘোষণা করেছে।
‘পলাতক অর্থনৈতিক অপরাধী’ আইন পাশ হয়েছে ২০১৮ সালের আগস্ট মাসেই। যাঁরা ভারতে নানা অর্থনৈতিক অপরাধ করে বিদেশে পালিয়ে গিয়েছেন, তাঁদের জন্যই ওই আইন। আইনে অনুযায়ী, ১০০ কোটি টাকা বা তার বেশি পরিমাণ অর্থ তছরুপের জন্য যাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে এবং পুলিশের হাত এড়াতে যাঁরা বিদেশে পালিয়ে গিয়েছেন, তাঁদের পলাতক অর্থনৈতিক অপরাধী হিসেবে গণ্য করা হবে। মামলার বিচার হবে বিশেষ দুর্নীতি দমন আদালতে।
অর্থনৈতিক নয়ছয় আইন অনুযায়ী কোনও ব্যক্তিকে ''ফিউজিটিভ ইকনমিক অফেন্ডার' হিসেবে ঘোষণা করা হলে তদন্তকারী সংস্থা তাঁর সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে পারে। অর্থাত্ এবার ইডি মালিয়ার যাবতীয় সম্পত্তি সিজ করতে পারবে। খুব শিজ্ঞির এই তালিকায় যুক্ত হতে পারে মেহুল চোক্সি এবং নীরব মোদীর নাম।
মুম্বই আদালত কিংফিশার মালিককে আর্থিক অপরাধী হিসেবে ঘোষণা করার পর এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন বিজয় মালিয়া।
বিজয় মালিয়া এখন রয়েছেন ব্রিটেনে। তাঁকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য সেদেশের আদালতে আর্জি জানিয়েছে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থাগুলি। গত মাসে ব্রিটেনের আদালতে জানায় তাঁকে ভারতে নিয়ে যাওয়া যেতে পারে।
মালিয়া আদালতে বলেছিলেন, ভারতের জেলের ভিতরে বন্দিদের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রাখা হয়। পালটা ভারতের জেলের ভিতরকার ভিডিও আদালতে পেশ করেন দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।
Read the full story in English