অনুপ্রবেশকারীদের রুখতে নাগরিকত্ব আইনে বদল এনেছে দ্বিতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আসা মোদী সরকার। যা নিয়ে জলঘোলাও হয়েছে প্রচুর, অশান্ত হয়েছে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত। সেই আবহেই এবার ভোটার আইডি কার্ডকে নাগরিকত্বের প্রমাণের জন্য যথেষ্ট জানিয়ে দিল মুম্বইয়ের আদালত। সম্প্রতি দুই ব্যক্তিকে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী বলে চিহ্নিত করেছিল মুম্বই পুলিশ, কিন্তু বৈধ ভোটার কার্ড থাকায় তাঁদের বেকসুর খালাস করে দেয় আদালত।
আরও পড়ুন: দেওয়ালে মাথা ঠুকে রক্তাক্ত নির্ভয়ার ধর্ষক, ‘চিনতে পারছে না’ নিজের মাকেও
প্রসঙ্গত, ১১ ফেব্রুয়ারি আব্বাস শেখ এবং তার স্ত্রী রাবিয়া খাতুন শেখকে পাসপোর্টের বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে আটক করা হয়। তবে অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এ এইচ কাশিকার তাঁদের বেকসুর খালাস করার আদেশ দেন। আদালত সেই আদেশে উল্লেখ করেছে যে আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স বা রেশন কার্ডকে নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসাবে চিহ্নিত করা না গেলেও, বৈধ ভোটার পরিচয়পত্র ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে পারে। তবে ১২ ফেব্রুয়ারি গৌহাটি হাইকোর্টের আদেশে বলা হয়েছিল যে প্যান কার্ড, ব্যাঙ্কের নথি এবং ভূমি কর প্রদান-সহ ভোটার কার্ড নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য ব্যবহার করা যাবে না।
আরও পড়ুন: ভারত, আমেরিকার পাশে থেকে জঙ্গি দমনে পাকিস্তানকে কড়া বার্তা চিনের
মুম্বই পুলিশের তরফে আদালতকে জানানো হয়েছিল যে ২০১৩ সালের মার্চ মাসে তাঁরা যে তথ্য পেয়েছিল সেখানে বলা হয়েছে যে মুম্বইয়ের রে রোডে কিছু "বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী" বসবাস করছেন। আরও বলা হয়েছে যে তদন্তে দেখা গিয়েছে যে বাংলাদেশে দারিদ্র্য ও অনাহারের মুখোমুখি হয়ে আসামিরা বৈধ প্রবেশের দলিল ছাড়াই ভারতে প্রবেশ করেছিলেন। পুলিশের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর এস সি লিঙ্গায়াত যুক্তি দিয়েছিলেন যে ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রমাণ করার জন্য তাঁদের কাছে কোনও বৈধ প্রমাণ ছিল না।
আদালত উল্লেখ করেছে যে আব্বাস শেখ এবং রাবিয়া খাতুন উভয়েই আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ভোটার পরিচয়পত্র, পাসবুক, স্বাস্থ্য কার্ড এবং রেশন কার্ড জমা জমা দিয়েছিলেন। আদালত এও বলেছিল যে সরকারী কর্তৃপক্ষের দ্বারা জারি করা এই নথিগুলি প্রমাণ হিসাবে গ্রহণযোগ্য। আদালত বলেছে, "এটি লক্ষ্য করা দরকার যে আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স বা রেশন কার্ডকে পর্যাপ্তভাবে নাগরিকত্ব প্রমাণিত নথি হিসাবে চিহ্নিত করা যায় না"।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন