দেশে গমের চাহিদা থাকলেও উৎপাদন নেই। এই কারণেই রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা করা হয়েছিল। রুশ ইউক্রেন যুদ্ধের পরেই বিদেশের বাজারে ভারতীয় গমের চাহিদা প্রচন্ড বেড়েছে। এপ্রিলের তুলনায় গমের দামের সঙ্গে পাল্লা দিয়েই বেড়েছিল আটার দাম। দেশে মজুত গমের পরিমাণ ক্রমশ কমে আসছে বলেই জানা গিয়েছিল। এদিকে রবিবার পাঞ্জাব এবং হরিয়ানা সরকার মিশ্র ভাবে জানিয়েছে গম উৎপাদন এবং সংগ্রহ এই দুই রাজ্যেই অব্যাহত থাকবে। এবং গমের বাজার খোলা থাকবে ৩১শে মে পর্যন্ত।
রবিবার, হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খাট্টা জানান, এই দুই রাজ্যে জোরকদমে চলছে গম উৎপাদন। পাঞ্জাবের খাদ্য সরবরাহ মন্ত্রীকে রাজ্যের ২৩২ টি মন্ডিতে ৩১শে মে পর্যন্ত গম সংগ্রহের কার্যক্রমের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সরকারি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, গম সংক্রান্ত নানা বিষয় সতর্কতার সঙ্গে বিচার করে দেখতে হবে। একদিকে মারাত্মক তাপমাত্রা, তার মধ্যে সঠিকভাবে গম উৎপাদন সম্ভব নয়। উচ্চ মূল্যের বিবেচনা করেই বিদেশের বাজারে গম রপ্তানি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিনি জানান, দেশের মানুষের স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দেশের দরিদ্র মানুষ যাতে প্রতিদিন খাদ্যশস্য পায়, খাবার থেকে বঞ্চিত না হয় তা নিশ্চিত করতেই, হরিয়ানায় আবার ১৫ দিনের জন্য গম সংগ্রহ করা হবে। এমনকি কৃষকদের সাদর আমন্ত্রণ, যারা নিজেদের গম বিক্রি করতে চান তারা আসতে পারেন।
আটার চাহিদা সমান রয়েছে এদিকে উৎপাদন নেই তার মধ্যে বৈদেশিক রপ্তানির জেরে দেশ জিরে গম এবং আটার অগ্নিমূল্য। সবথেকে বেশি আটার দাম মুম্বইতে, এবং সবথেকে কম দিল্লিতে। আটার পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বেড়েছে পাউরুটি বেকারির দাম। আটা গমের মূল্যবৃদ্ধির পেছনে দায়ী পেট্রোল ডিজেলের দামও। এবছর বৃষ্টির মাত্রা বেশি, তাই আগাম উৎপাদন করা হবে বলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।