যত দিন যাচ্ছে রাজধানী ক্রমশই শীতল হচ্ছে। তবে তা কেবল আবহাওয়ায়। কৃষক আন্দোলনে দিল্লি এখনও উত্তপ্ত। কৃষি বল নিয়ে ষষ্ঠ দফার বৈঠকের পর সরকারের লিখিত প্রস্তাবও নাকচ করেছে কৃষকরা। বরং দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দিল্লি সীমান্তে জড়ো হচ্ছে আরও কৃষকরা। এরই মধ্যে পাঞ্জাব, দিল্লিতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ প্রবল বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল মৌসম ভবন। যদিও আন্দোলনকারীদের তরফে সাফ জানান হয়েছে যে বৃষ্টি হলেও বিক্ষোভের এই মঞ্চ ছেড়ে একইঞ্চিও নড়বেন না তাঁরা।
সরকারের পাশাপাশি যেন প্রকৃতিকেও চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন তাঁরা। কৃষকরা জানান যে বৃষ্টির মধ্যে দরকার হলে তাঁরা ট্রলির মধ্যে আশ্রয় নেবেন কিন্তু প্রতিবাদের মঞ্চ ছেড়ে যাবেন না। অল ইন্ডিয়া কিষাণ সংঘর্ষ কোঅর্ডিনেশন কমিটি (AIKSCC)-র ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য জগমোহন সিং পাটিয়ালা বলেন, "আমাদের ওয়াটারপ্রুফ টেন্ট রয়েছে। এছাড়াও আমাদের কৃষকদের ট্রলি রয়েছে। যার ওয়াটারপ্রুফ আচ্ছাদন দিয়ে ঢাকা। তাই বৃষ্টি হলেও তাঁদের কোনও সমস্যা হবে না।"
আরও পড়ুন, ‘ইগো নয়, খোলা মনেই আলোচনা চায় সরকার’, কৃষকদের আবেদন কেন্দ্রের
কৃষি আইন এবং মোদী সরকারের বিরুদ্ধে গত ১৫ দিন ধরে এই প্রতিবাদ জারি রেখেছেন কৃষকরা। রাতের পর রাত রাজধানীতে ট্রলির নীচেই ঘুমোচ্ছেন তাঁরা। সরকার তো অনেক দূর, প্রকৃতির এই মার নিয়েও ভীতসন্ত্রস্ত নন তাঁরা। বরং কৃষক নেতা সুখদেব সিং বলেন, "আমরা যখন পাঞ্জাব থেকে রওনা দিয়েছিলাম তখন ধরেই নিয়েছিলাম আবহাওয়ার প্রতিকূলতার মুখে পড়তে হতে পারে আমাদের। আমরা অনেকেই রেনকোট নিয়ে এসেছি। আমরা কৃষকরা রোদ-বৃষ্টি ঝড় মাথায় নিয়েই চাষাবাদ করি। এই সব প্রতিকূলতায় আমরা ভয় পাইনা। তাই এক ইঞ্চিও নড়ব না আমরা।"
উল্লেখ্য, বিভিন্ন প্রদেশ থেকে যখন রাজধানীতে বিক্ষোভ করার উদ্দেশে আসেন কৃষকরা, সীমান্তে একের পর এক জলকামান দিয়ে রুখতে চেষ্টা করা হয় তাঁদের। কিন্তু প্রতিবাদ স্পৃহা থেমে থাকেনি। প্রশাসনের জলকামান যাঁদের রুখতে পারেনি, প্রকৃতির জলকামানে আদৌ তাঁদের রোখা যাবে কি?
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন