ব্রণর সমস্যা অল্পবয়সি থেকে মাঝবয়সি সবার কাছেই সাধারণ সমস্যা গুলির মধ্যে একটি। তবে এর প্রভাব সবার মধ্যে সমান নয় , কারওর কমে তো সারে, আবার কারও মুখে দেখা যায় লাল ছোপ অনেকের ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ির পর্যায়েও পৌঁছে যায়। কিন্তু আপনি কি জানেন, ব্রণ শুধু মুখে নয় দেহেও হতে পারে ?
Advertisment
কী কারণে দেহে ব্রণ সৃষ্টি হয় ?
আয়ুর্বেদিক অনুশীলনের অধ্যক্ষ ডা. শ্যাম ভিএল এর মতে, দেহে ব্রণর সমস্যা ঠিক একই কারণে হয় যে কারণে মুখে ব্রণ হয়। সাধারণত, অতিরিক্ত তেলগ্রন্থি, ত্বকের অতিরিক্ত মৃত কোষ এবং ব্রণ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়ার বিস্তার থেকেই এই সমস্যা হতে পারে। অনেক সময় ঘাম এবং জামাকাপড়ের সুতো কিংবা তার মান নিচু হলেও অনেকক্ষণ সেই কাপড় পড়ে থাকার পরে দেহের নানান স্থানে ব্রণ সৃষ্টি হতে পারে। ব্রণ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া রোমকূপের গোড়ায় ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে তা স্ফীত করে তোলে। ত্বকের গভীরে প্রদাহ পৌঁছলে ব্রণের সিস্ট তৈরি হয়। সিস্ট খুব বেদনাদায়ক হতে পারে।
অনেক সময় মাথার খুশকি এমনকি কিছু প্রসাধনী দ্রব্য থেকেও কিন্তু ব্রণ হতে পারে। সেই ক্ষেত্রে খুশকির চিকিৎসা করা অবশ্যই প্রয়োজন। অনেক সময় ব্রণ নিরাময়ের পরেও দাগ অবশিষ্ট থেকে যায় যেগুলি সৌন্দর্যে ব্যাঘাত ঘটায়। সেই থেকেই মুখে কালো ছোপ এমনকি ক্রমশ সেগুলি বৃদ্ধি পেতেই থাকে। অনেক সময় নিঃসৃত রস আরও বেশি মাত্রায় ব্রণ ছড়িয়ে দিতে পারে।
তাহলে উপায় ?
এর থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আয়ুর্বেদিক রূপটানের চেয়ে বিকল্প আর কিছুই নেই। ঘরোয়া প্রতিকার সবসময়ই ত্বকের নানা সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে।