নিজের সাথেই গল্প করেন? গবেষণা বলছে বুদ্ধিমত্তায় আপনি বেশ ওপরের দিকেই

লিখিত নির্দেশিকা দিয়ে একদলকে বলা হয়েছিল মনে মনে তা পড়তে। দ্বিতীয় দলটি নির্দেশিকা পড়েছিল জোরে জোরে, মুখে উচ্চারণ করে। ফলাফল অনুযায়ী, মনে মনে নির্দেশিকা পড়া দলের তুলনায় দ্বিতীয় দলের কাজের মান ছিল অনেকটাই উৎকৃষ্ট।

লিখিত নির্দেশিকা দিয়ে একদলকে বলা হয়েছিল মনে মনে তা পড়তে। দ্বিতীয় দলটি নির্দেশিকা পড়েছিল জোরে জোরে, মুখে উচ্চারণ করে। ফলাফল অনুযায়ী, মনে মনে নির্দেশিকা পড়া দলের তুলনায় দ্বিতীয় দলের কাজের মান ছিল অনেকটাই উৎকৃষ্ট।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

গবেষণার ফলাফল কিন্তু আপনার পক্ষেই

"সকল লোকের মাঝে বসে আমার নিজের মুদ্রাদোষে আমি কেবল হতেছি আলাদা?" জীবনানন্দের 'বোধ' কবিতাটা সেই সময় আপনাকে ভাবিয়েছিল খুব। কিন্তু বন্ধুদের কথায় ভরসা করে সেই 'মুদ্রাদোষ' ছাড়তে বসেছিলেন নিশ্চয়ই। ঘাবড়াবেন না। সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, সবার মাঝে নিজের সঙ্গে এই জোরে জোরে কথা বলাটা কোনও রোগই নয়। দাঁড়ান, মনে বল পাবেন। গবেষণা আরও বলছে, এই সমস্ত মানুষের বুদ্ধিমত্তা নাকি আর পাঁচটা মানুষের চেয়ে একটু বেশিই।

Advertisment

অধিকাংশ ক্ষেত্রে নিজের সঙ্গে কথা বলার অভ্যেস ছাড়তে হয় আশেপাশের লোকজনের চাপেই। তাদেরকে এবার বুড়ো আঙুল দেখানোর পালা। আমেরিকার ব্যাঙ্গর বিশ্ববিদ্যালয়য়ের সাম্প্রতিক গবেষণার ফলাফল বলছে যাঁরা নিজেদের সঙ্গে কথা বলেন, তাঁদের বুদ্ধিমত্তা সাধারণ মানুষের তুলনায় বেশি হয়।

আরও পড়ুন: বোলিভিয়ার এই মহিলা সম্ভবত পৃথিবীর সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি, বয়স ১১৮

Advertisment

গবেষণা চলাকালীন ২৮ জন অংশগ্রহণকারীকে ভাগ করা হয়েছিল দুটো আলাদা দলে। লিখিত নির্দেশিকা দিয়ে একদলকে বলা হয়েছিল মনে মনে তা পড়তে। দ্বিতীয় দলটি নির্দেশিকা পড়েছিল জোরে জোরে, মুখে উচ্চারণ করে। ফলাফল অনুযায়ী, মনে মনে নির্দেশিকা পড়া দলের তুলনায় দ্বিতীয় দলের কাজের মান ছিল অনেকটাই উৎকৃষ্ট।

গবেষণাকারী তথা মনস্তত্ত্ববিদ ডঃ পালোমা মারিবেফা এই ফলাফল প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, "নিজের সঙ্গে কথা বলার সবচেয়ে বড় গুণ হচ্ছে আপনি নিজের কথা শুনতে পাচ্ছেন। লিখিত নির্দেশিকার চেয়ে অনেক বেশি কার্যকরী হল নির্দেশ শোনা। এমন কী কোনও চ্যালেঞ্জিং কাজ করার সময় নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ আনতে, মনঃসংযোগ বাড়াতে এই পন্থা খুবই কাজে দেয়।"

তাই, এবার থেকে আর কোনও রাখঢাক না করে কথা বলুন নিজের সঙ্গে।