হুগলি জেলার শ্রীরামপুরের শ্মশানঘাটে রয়েছে বিখ্যাত শ্মশানকালী মন্দির। দেবী এখানে ভক্তদের মনোবাঞ্ছা পূর করেন। এমনটাই দাবি করে থাকেন শ্মশানকালী মন্দিরের ভক্তরা। রাজ্যের প্রায় সব শ্মশানেই রয়েছে কালী মন্দির। মৃত ব্যক্তির আত্মা যাতে শান্তি পায়, সেই জন্য এই ব্যবস্থা। সেই কারণেই শ্রীরামপুর শ্মশানঘাটের ঠিক পাশে গড়ে উঠেছে এই মন্দির। যার পাশ দিয়ে কুলকুল করে বয়ে গিয়েছে পুণ্যতোয়া ভাগীরথী।
এখানকার শ্মশানকালী মন্দির এতটাই জাগ্রত যে পুজোর সময় ভিনরাজ্য থেকেও ভক্তরা আসেন। দেবী তাঁদের সকলের মনস্কামনা পূরণ করবেন, এই আশায় ভক্তদের ভিড় এই মন্দিরে লেগেই থাকে। মন্দির পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে সর্বজনীন শ্মশানকালী পুজো কমিটি। স্থানীয় দুটি ক্লাব সবুজ সংঘ ও সৌরভ সংঘের সদস্যরা অংশ নেন দেবীর পুজোয়। তাঁদের সহায়তায় হয় পুজো। এই মন্দিরের পুজো বহু প্রাচীন। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, অন্তত ১৬০ বছর ধরে দেবী কালী এই মন্দিরে পুজো পেয়ে আসছেন।
এখানে নারকেল ফাটিয়ে দেবীর পুজো শুরু হয়। দেবীর বরণ তিন ভাগে পুরোনো রীতি মেনেই হয়ে থাকে। পুজোর শুরুর পরপরই চণ্ডীপুজো প্রথমে করে নেওয়া হয়। তারপর হয় দেবীর আসল পুজো। এই পুজো দেখতেও আসেন অসংখ্য ভক্ত। অনেকেই দেবীর কাছে মনস্কামনা পূরণের পুজো দেন। আবার অনেকে মনস্কামনা পূরণের জন্য প্রার্থনা জানান। পুজো শুরু হয় সকাল ৭টায়। চলে সন্ধে ৭টা পর্যন্ত। দেবীর প্রসাদী ফল শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতাল, শ্রীরামপুর টিবি হাসপাতাল ও চিয়ার্স হোম এবং শ্রীরামপুর পুর শ্রমজীবী হাসপাতালে বিতরণ করা হয়।
আরও পড়ুন- বিখ্যাত দক্ষিণেশ্বর শিব মন্দির, যার অলৌকিক মাহাত্ম্য জানলে চমকে উঠবেন যে কেউ
ভক্তদের দাবি, এই মন্দিরে পুজো দেওয়ার পর বহু রোগী সেরে উঠেছেন। শুধু তাই নয়, যাঁরা লেখাপড়া শেখার পর উপযুক্ত চাকরি পাচ্ছেন না, তাঁদের অনেকের চাকরির ব্যবস্থাও হয়েছে এই মন্দিরে পুজো দেওয়ার পরই। পাশাপাশি, বহু বিবাহযোগ্য বা যোগ্যাদের এই মন্দিরে পুজো দেওয়ার পর বিয়ে হয়েছে। এমন ধরনের হাজারো অলৌকিক-কাণ্ডের সাক্ষী শ্রীরামপুরের শ্মশানকালী মন্দির।