হস্টেলের ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে সম্প্রতি সরব হয়েছিল জেএনইউ। সেই রেশেই রবিবার সন্ধ্যে ৬.৩০ নাগাদ ‘শান্তিপূর্ণ মিছিলের’ ডাক দেন জেএনইউএর টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন।এরপরই শুরু হয় অতর্কিত হামলা।
গোটা ঘটনায় এবিভিপির দিকে আঙুল উঠলেও, আরএসএসের এই শাখা গোটা বিষয়টি অস্বীকার করেছে। তাঁদের বক্তব্য বাম সদস্যরাই তাঁদের উপর আক্রমণ করে।
প্রায় শ’খানেক মুখোশধারীরা এসে এই তাণ্ডব চালায় বলেও অভিযোগ করেন পড়ুয়ারা।
মুখে কালো মুখোশ। হাতে লাঠি, রড, হাতুড়ি। রবিবার রাতে দিল্লির জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে প্রবেশ করে মুখোশধারীদের তিন ঘণ্টার তাণ্ডবে রক্তাক্ত হল ক্যাম্পাস।
রাতের অন্ধকারে এই ভয়ঙ্কর হামলায় আহত হয়েছেন জেএনইউয়ের ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐশী ঘোষ-সহ একাধিক ছাত্রছাত্রী
এই ঘটনায় কার্যত দর্শক হিসেবেই ছিল পুলিশ, এমন বিস্ফোরক মন্তব্যও করেন আহতরা।
শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের তরফে ফোন পাওয়ার পরেও কীভাবে গোটা ঘটনায় নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করল পুলিশ? প্রশ্ন উঠছে সেখানেই।
অমিত শাহের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনে দিল্লির পুলিশ। গোটা ঘটনায় যখন পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে সেই প্রেক্ষাপটেই পুলিশকে অবিলম্বে এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেন অমিত শাহ স্বয়ং।
ক্যাম্পাসে এবিভিপি এবং বাম সংগঠনের নেতাদের কোন্দলের একদিন পরই এই মিছিলের ডাক দেন তাঁরা। সেই উদ্দেশে জড়ো হয়েছিলেন সকলেই।
রাত ১০ ৪৫ নাগাদ পুলিশের উপস্থিতি বাড়ানো হয় গেটের বাইরে। গেটের উল্টোদিকে জমায়েত বাড়তে থাকে। রাত এগারোটায় নিভিয়ে দেওয়া হয় রাস্তার আলো। রবিবার রাতে ৭০০-র বেশি পুলিশকর্মীকে দেখা যায় বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে।