রাষ্ট্রপত্নী- একটা বেফাঁস মন্তব্য, তাও মুখ ফস্কে বলে ফেলা। আর সেই ভুল নিয়ে উত্তাল জাতীয় রাজনীতি। লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরির বেফাঁস মন্তব্য নিয়ে অস্বস্তিতে শতাব্দী প্রাচীন দল। আরও অস্বস্তি বেড়েছে সংসদে বিজেপির বিক্ষোভে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধিকে আক্রমণ করা হচ্ছে বলে।
অধীর এদিন বলেছেন, "আমি কখনও ভাবতেও পারি না রাষ্ট্রপতিকে অপমান করব। এটা ভুলবশত হয়েছে, আর কিছু না। যদি রাষ্ট্রপতির খারাপ লেগে থাকে তাহলে আমি ব্যক্তিগত ভাবে তাঁর সঙ্গে দেখা করে ক্ষমা চাইব।" এর পর বিজেপির আক্রমণ ইস্যুতে অধীরের পাল্টা, "চাইলে আমাকে এর জন্য ফাঁসিতে ঝোলান, আমি শাস্তি গ্রহণ করতে প্রস্তুত। কিন্তু কেন সনিয়া গান্ধিকে এর মধ্যে টানা হচ্ছে?"
এর আগে বৃহস্পতিবার সংসদে উত্তাল পরিস্থিতি তৈরি হয় অধীরের মন্তব্য নিয়ে। রাষ্ট্রপতিকে অবমাননার অভিযোগ এনে অবিলম্বে তাঁর এই বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাওয়ার দাবিতে সোচ্চার হন বিজেপি নেতারা। যদিও বিরোধীদের দাবিকে কার্যত নস্যাৎ করে এদিন কংগ্রেস নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী বলেন, “ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই নেই”। সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অধীর বলেন, "ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই আসে না। আমি ভুল করে ‘রাষ্ট্রপত্নী’ বলে ফেলেছিলাম। বিজেপি ইচ্ছাকৃতভাবে এটাকে নিয়ে একটা ইস্যু তৈরির চেষ্টা করছে।"
আরও পড়ুন ‘রাষ্ট্রপত্নী’ বিতর্ক, উত্তাল লোকসভা, মেজাজ হারালেন সনিয়া, নিশানায় স্মৃতি
যদিও অধীরের এই দাবি মানতে রাজি নন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। এদিন অধীরের এই মন্তব্য নিয়ে লোকসভায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি সাংসদ ও মন্ত্রীরা। তালিকায় ছিলেন, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি-সহ বিজেপির প্রথম সারির নেতারা।
স্মৃতি ইরানি বলেন, “কংগ্রেস নেতা রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে ‘রাষ্ট্রপত্নী’ বলে সম্বোধন করেছিলেন। এই মন্তব্য সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদের মর্যাদাকে অবমাননা করে। দেশ জানে যে কংগ্রেস উপজাতি বিরোধী, দলিত বিরোধী এবং নারী বিরোধী। তাঁর এই মন্তব্যের জেরে অবিলম্বে ক্ষমা চাওয়া উচিত” ।