পরের সপ্তাহের বিরোধী বৈঠক। তার আগেই কেন্দ্রের অধ্যাদেশ নিয়ে কংগ্রেসেকে যথেষ্ট চাপে রাখল কেজরিওয়ালের দল। বিরোধী বৈঠকে দল উপস্থিত হবে কিনা তা নির্ভর করছে দিল্লির অর্ডিন্যান্স নিয়ে কংগ্রেসের সিদ্ধান্তের ওপরেই, এমনটাই জানানো হয়েছে আপের তরফে।
এবিষয়ে সিনিয়র এক আপ নেতা জানিয়েছেন, 'পাটনার বৈঠকে কংগ্রেস জানিয়েছিল, অভ্যন্তরীণ আলোচনার পরে তারা অধ্যাদেশের বিষয়ে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করবে। যদিও কংগ্রেসের তরফে কেন্দ্রের অধ্যাদেশ ইস্যুতে এখনও আপের পাশে থাকার বার্তা মেলেনি'। এর মধ্যে দলীয় সূত্রে খবর, আগামী সপ্তাহে বেঙ্গালুরুতে বিরোধী ঐক্যের বৈঠকে হাজির থাকবে না দল, যদি না কংগ্রেস কেন্দ্রের অধ্যাদেশ নিয়ে তার অবস্থান স্পষ্ট করে।
সিনিয়র আপ নেতা বলেন, “কংগ্রেস নেতারা বলেছিলেন যে অভ্যন্তরীণ আলোচনার পরে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে এবং বাদল অধিবেশনের আগে তাদের অবস্থান পরিষ্কার করবে।”
অপর এক সিনিয়র আপ নেতা জানিয়েছেন, ‘আমরা আশাবাদী যে কংগ্রেস শীঘ্রই অধ্যাদেশের বিরোধিতা করে তার অবস্থান নিয়ে আসবে। আমাদের বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, তবে আমরা উপস্থিত হব কিনা তা কংগ্রেসের উপর নির্ভর করছে। দেখা যাক দল শেষ পর্যন্ত কী সিদ্ধান্ত নেয়”।
এদিকে, প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী এখনও আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য চিঠির জবাব দেননি। সূত্রের মতে, দিল্লি এবং পাঞ্জাবে আপ-কংগ্রেস জোটে নারাজ দলের নেতাদের একটা বড় অংশ। কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন নেতা কেজরিওয়ালকে সমর্থন করতে অস্বীকার করেছেন।