/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/01/Ram-temple.jpg)
আগামী বছরের ১লা জানুয়ারি অযোধ্যায় রাম মন্দিরের উদ্বোধন হবে। এমনটাই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সামনেই নির্বাচনের মুখোমুখি হতে চলেছে ত্রিপুরা। তার আগে পার্বত্য রাজ্যের এক সভায় প্রচারে এমনটাই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। রামমন্দির তৈরির পিছনে দেরি হওয়ার জন্য কংগ্রেস এবং সিপিএমকেও দায়ী করেন শাহ। তাঁর অভিযোগ, কংগ্রেস ও সিপিএম একের পর এক মামলা করে মন্দির নির্মাণে দেরি করিয়েছে।
শাহ এমন এক সময়ে রাম মন্দিরের প্রসঙ্গ টানলেন, যখন রাম মন্দিরের প্রধান পুরোহিত রাহুল গান্ধীর পদযাত্রার প্রশংসা করেছেন। এমনকী, রাম মন্দিরের অছি পরিষদের সম্পাদকও প্রশংসা করেছেন। যা রীতিমতো হতবাক করে দিয়েছে দেশবাসীকে। যা কার্যত স্পষ্ট করে দিয়েছে যে রামমন্দির ইস্যুতে সংঘ বা বিজেপির সঙ্গে রামমন্দিরের পুরোহিত ও পরিচালকদের বিভাজন তৈরি হয়েছে। সেই পর্ব মিটতে না-মিটতেই ত্রিপুরার ভোটপ্রচারে রামমন্দির ইস্যুকে টেনে আনলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
সভায় শাহ জানান, রাম মন্দির ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিতেই সক্রিয় হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি মন্দিরের নির্মাণকাজ শুরু করান। শুধু রাম মন্দিরই নয়। বক্তব্যে শাহ টেনে আনেন পুলওয়ামা প্রসঙ্গও। তিনি বলেন, 'নরেন্দ্র মোদীর হাতে দেশ নিরাপদ। কাশ্মীরের পুলওয়ামা ঘটনার ১০ দিন পর, ভারতীয় সৈন্যরা পাকিস্তানের ভিতরে গিয়ে মোদিজির নেতৃত্বে সফল অপারেশন চালায়।'
আরও পড়ুন- পুনর্বাসন না-দিয়ে উচ্ছেদ নয়, হলদোয়ানিতে কেন এমন নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট?
ত্রিপুরার পাশাপাশি, বৃহস্পতিবার শাহ তাঁর ১১ রাজ্যে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেছেন। বৃহস্পতিবার তিনি ত্রিপুরায় দলের নির্বাচনী রথযাত্রার উদ্বোধন করেন। বিকাশ বা উন্নয়নের বার্তায় জোর দেন। বিজেপি সরকার এই নির্বাচনে মোট ৮৪টি বিষয়ের ওপর রিপোর্ট কার্ড তৈরি করেছে। এই রিপোর্ট কার্ডে ১০টি শিরোনাম রাখা হয়েছে। রিপোর্ট কার্ডে গেরুয়া শিবির ত্রিপুরাবাসীকে বোঝানোর চেষ্টা করেছে যে তারা ২০১৮ সালের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছে।
Read full story in English