তিন মাস আগে প্রমোদ শেহবাগের ওজন ছিল ১৪০ কেজি। অন্যান্য মোটা লোকজনের মত তিনিও অতিরিক্ত ওজন কমানোর ব্যায়াম করেছিলেন। কিন্তু, কঠোর ব্যায়াম বা ডায়েট কিছুই করতে পারেনি। কিন্তু, গত তিন মাসে এই ৪১ বছর বয়সি যুবক প্রায় ২০ কেজি ওজন কমিয়ে ফেলেছেন। হরিয়ানার জিন্দের কংগ্রেস নেতা শেহবাগ গত তিন মাস ধরে ভারত জোড়ো যাত্রায় জুড়ে আছেন। প্রতিদিন রাহুল গান্ধীর সঙ্গে হাঁটছেন। কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীরে পৌঁছনো। এই লক্ষ্য নিয়ে গত ৭ সেপ্টেম্বর শুরু হয়েছিল ভারত জোড়ো যাত্রা। নয়টি রাজ্য আর ২,৫০০ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে শনিবার সকালে এই পদযাত্রা দিল্লিতে পৌঁছেছে।
শেহবাগ একা নন। রাহুলের সঙ্গে থাকা ১২০ জন যাত্রীর মধ্যে অনেকেরই ওজন কমেছে। নির্বাচনে কংগ্রেসের সাফল্যের লক্ষ্যে এই যাত্রীরা রাহুলের সঙ্গে হাঁটছেন। তাতে কংগ্রেস কতটা সাফল্য পেয়েছে, সেটা এখনও বোঝার সময় আসেনি। কিন্তু, তাঁদের ওজন যে বেশ কমেছে। এটাতেই খুশি রাহুলের সঙ্গীরা। তাঁরা মনে করছেন, এই প্রতিদিনের হাঁটাহাঁটিতে তাঁদের শারীরিক শক্তিও আগের চেয়ে বেড়েছে। যেমন কেরলের ৫০ বছর বয়সি ভেনুগোপালন পিভি অথবা তামিলনাড়ুর মহম্মদ আরিফের মত কারও কারও ওজন তো আবার ১০ কেজিরও বেশি কমে গিয়েছে। লোকসভার সাংসদ জোথিমনি যেমন তিন কেজি ওজন কমিয়েছেন।
আরও পড়ুন- তাঁর মাঠে ঢুকে পড়া নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে ফিফা, কে এই সল্ট বে?
আরিফ বললেন, 'এই পদযাত্রা আমার কাছে ব্যক্তিগতভাবে এক চ্যালেঞ্জ ছিল। কারণ, স্ত্রী আর পরিবারের লোকজন ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে আমি নাকি টানা তিন দিনও হাঁটতে পারব না। আসলে আমিও শেহবাগের মতই বেশ মোটা ছিল। আগে ছিলাম ১২৫ কেজি। এখন দেখছি ১০ কেজি কমেছে। ১১৫ কেজি হয়েছে।' দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত শেহবাগ ২০১৪ সালে জিন্দ থেকে বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। হেরে যান। হরিয়ানার এই আইনের স্নাতক বলছিলেন, 'প্রথমদিকের দিনগুলো খুব কঠিন ছিল। যখন ওজন বেশি থাকে, হাঁটা খুব কঠিন হয়। এখন আর কোনও সমস্যা নেই। এখন বেশ জোর পাচ্ছি।'
Read full story in English